ন্যাভিগেশন মেনু

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে স্ক্রু দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতনে গর্ভের সন্তানের মৃত্যু


ময়মনসিংহের নান্দাইলের বেলতৈল গ্রামে যৌতুকের জন্য এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে স্ক্রু দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতন করায় গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এই অভিবামী অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূ বৃষ্টি আক্তারকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বৃষ্টি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ভাটি চরনও পাড়া গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) নান্দাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন গৃহবধূ বৃষ্টির চাচা শামসুল হক।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি আক্তারকে বেলতৈল গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। এ সময় সোনার গহনা ও ব্যবসার জন্য জুয়েলকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। তারপরেও জুয়েল মিয়া যৌতুক হিসেবে আরও দেড়লাখ টাকা দাবি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে যৌতুকের কারণে স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করেন।

রবিবার জুয়েল বৃষ্টিকে ডেকে নিয়ে তার কাছে ফের যৌতুকের টাকা দাবি করলে বৃষ্টি বাবার বাড়ি থেকে আর টাকা আনতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয়। এ সময় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে জুয়েল তার হাতে থাকা স্ক্রু-ডাইভার দিয়ে বৃষ্টির মুখমণ্ডল ও শরীর ক্ষতবিক্ষত করে।

এরপর চিকন বাঁশ দিয়ে আটমাসের অন্তঃস্বত্ত্বা বৃষ্টিকে মারধর করার একপর্যায়ে বৃষ্টির চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে জুয়েল চলে যান।

স্থানীয়রা জানান,  বৃষ্টির এই অবস্থায় স্বামীর বাড়ি থেকে বৃষ্টির বাবার বাড়িতে খবর দেয়া হলে তারা এসে বৃষ্টিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

শামসুল হক জানান, বৃষ্টিকে প্রথমে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা যায় বৃষ্টির গর্ভের সন্তান মারা গেছে। অস্ত্রোপচার করে মৃত সন্তান বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল মডেল থানার এসআই খায়রুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ৩জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি জুয়েলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওয়াই এ/ওআ