ন্যাভিগেশন মেনু

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মারধোর মামলায় পুলিশ সদস্যের ২ বছর জেল-জরিমানা


যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মারধোর মামলায় পুলিশ সদস্যের জেল-জরিমানা হয়েছে। এ কাণ্ড দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা বরিশালে। 

দাবিকৃত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মারধোরের মামলায় পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন শেখকে ২ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন জেলার উজিরপুর উপজেলার কাজিরা এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে নায়েক পদে কর্মরত। 

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি আজিবর রহমান জানান, ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল রুহুল আমিন উজিরপুরের হস্তিশুন্ড এলাকার সেলিনা বেগমকে বিয়ে করেন। সংসার জীবনে তাদের ৮ বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

দীর্ঘ ৮ বছর সংসার করার এক পর্যায়ে রুহুল আমিন ছুটিতে বাড়ি এসে তার স্ত্রী সেলিনা বেগমের কাছে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে যাবার কথা বলে শ্বশুড় বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা  এনে দিতে বলে। সেলিনা বেগম বাবার বাড়ি থেকে তাকে ১ লাখ টাকা এনে দেয়। 

২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর রুহুল আমিন ছুটিতে বাড়ি এসে যৌতুক দাবির বাকী ১ লাখ টাকা না দেয়ায় স্ত্রী ও ছেলে ছায়েম মাহামুদকে শশুড় বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। 

২০১৫ সালের ২৪ মার্চ বিকেলে দাবিকৃত ১ লাখ টাকা না দেয়ায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে এবং স্ত্রীকে মারধর করে রুহুল আমীন। এ কাণ্ডে ২৯ এপ্রিল উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন সেলিনা বেগম। 

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুর রহমান রুহুল আমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেন। পরে ট্রাইব্যুনালে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

এস এস