ন্যাভিগেশন মেনু

রিমান্ড শেষে কারাগারে হেফাজতের রফিকুল


রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১০ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক কাজী নাসিরুল ইসলাম মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলামকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২১ এপ্রিল তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর পরদিন রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তার আরও ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ মামলায় রিমান্ড শেষে গত ৬ মে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহারে বলা হয়, ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। তার এসব বক্তব্য দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করছে।

প্রসঙ্গত,  গত ৮ এপ্রিল গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে তাকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এসব মোবাইলে বেশকিছু বিদেশি পর্ণ ভিডিও পাওয়া যায়।

গত ২৫ মার্চ ঢাকার বায়তুল মোকাররমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভের সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল মাদানী। পরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। 

এ ঘটনায় মতিঝিল থানার এসআই মিন্টু কুমার মামলা দায়ের করেন।

ওয়াই এ/এডিবি/