ন্যাভিগেশন মেনু

ক্যানসার চিকিৎসায় পথ দেখিয়ে নোবেল পেলেন দুই মহিলা গবেষক


বুধবার এ বছরের নোবেল প্রাপক (রসায়ন) হিসেবে মার্কিন গবেষক জেনিফার এ দৌদেনা ও ফরাসি গবেষক ইম্যানুয়েল চারপেন্টারের নাম ঘোষণা করেছে দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকডেমি। তাঁরা যৌথভাবে জিন সম্পাদনা অর্থাৎ জিনের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম, এমন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে।

গত দুদিন চিকিৎসাশাস্ত্র ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের নোবেল প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন রসায়ন বিভাগে পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হল। এদিন নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়, ইম্যানুয়েল চারপেন্টার ও জেনিফার এ দৌদেনা জিন সংক্রান্ত গবেষণায় এক নয়া দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

তাঁরা জিন সম্পাদনার আধুনিকতম প্রযুক্তি CRISPR/ক্যাস ৯ সিসর আবিষ্কার করেছেন। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকরা প্রাণী, উদ্ভিদ এবং যে কোনও জীবাণুর ডিএনএ-র পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন।

এর সুফল মিলবে ক্যানসার ও যে কোনও ক্রোনিক রোগের চিকিৎসা ক্ষেত্রে। ক্যানসার সারানোর বিভিন্ন থেরাপিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে বলেও জানিয়েছে নোবেল কমিটি। এমনকী, উদ্ভিদের বংশবিস্তারেও সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি।

নোবেল বিজেতা ইম্যানুয়েল চারপেন্টারের জন্ম ফ্রান্সে। তিনি বর্তমানে জার্মানির বার্লিনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক বিশ্ববিদ্যালেয়র প্যাথোজেন শাখার ডিরেক্টর। অন্যদিকে, জেনিফার এ দৌদেনার জন্ম ওয়াশিংটনে। তিনি আমেরিকার ইউসি বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। পাশাপাশি HHMINEWS -এ গবেষক হিসেবেও যুক্ত রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে এবছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল জিতে নিয়েছেন আমেরিকার আন্দ্রেয়া ঘেজ। এবার রসায়ন বিভাগেও নোবেল জিতে তাক লাগালেন দুই মহিলা। এর আগে মাত্র পাঁচজন মহিলা এই বিভাগে নোবেল পেয়েছেন।

তাঁদের মধ্যে সর্বপ্রথম মেরি কুরি (১৯১১)। এরপর জ্যালিয়ট কুরি (১৯৩৫), ডরোথি ক্রফউট হকিং (১৯৬৪), অ্যাডা আ ইয়োনাথ (২০০৯)। এর ন’বছর পর একই বিভাগে নোবেল জেতেন এইচ আর্নল্ড (২০১৮)।

আরও পড়ুনঃ 

এস এ/এডিবি/এস এস