ন্যাভিগেশন মেনু

রাজধানীতে ৭১ ও চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি


রাজধানীতে ৭১ এবং চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তিন হাজার ২২০ জনের মাঝে পাঁচ মাসের গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে অনুযায়ী, বয়স্ক ও তরুণদের অ্যান্টিবডির হার (সেরোপজিটিভিটি) প্রায় সমান। নারীদের মধ্যে অ্যান্টিবডির হার ৭০.৬ শতাংশ এবং পুরুষদের মধ্যে অ্যান্টিবডির হার ৬৬ শতাংশ।

যেসব অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির (মোট ২২০৯) মধ্যে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে শুধু ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশের ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।

অল্পশিক্ষিত, অধিক ওজন, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের মাঝে অধিক মাত্রায় সেরোপ্রিভেলেন্স দেখা গেছে। তবে বারবার হাতধোয়ার প্রবণতা, নাক-মুখ কম স্পর্শ করা, বিসিজি টিকাগ্রহণ এবং মাঝারি ধরণের শারীরিক পরিশ্রম করা ব্যক্তিদের মাঝে কম মাত্রার সেরোপ্রিভেলেন্স দেখা গেছে।

সেরোনেগটিভ ব্যক্তিদের তুলনায় সেরোপজিটিভ ব্যক্তিদের মাঝে সেরাম জিংকের মাত্রা বেশি দেখা গেছে। গবেষণায় ভিটামিন ডি'র অপর্যাপ্ততার সাথে সেরোপজিটিভিটির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তি এবং বস্তিসংলগ্ন এলাকায় এই গবেষণা করা হয়। এসব এলাকায় বসবাসকারী করোনার উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গহীন ব্যক্তিদের ওপর এ গবেষণা করা হয়।

এ গবেষণার প্রধান গবেষক ছিলেন আইসিডিডিআরবির ডা. রুবহানা রাকিব ও ড. আবদুর রাজ্জাক।

গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)। 

বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এ গবেষণায় অ্যাডভোকেসি পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে।

এডিবি/