ন্যাভিগেশন মেনু

রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: সমবায় মন্ত্রী


রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাসা-বাড়ি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। 

রবিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে আয়োজিত ‘নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা’-২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুয়ারেজ লাইন কোনভাবে সরাসরি লেক অথবা খালে দেওয়া যাবে না।

পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য সেপটিক ট্যাংক না রেখে কোনো বাসা-বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। নকশা অনুমোদন দেওয়ার পূর্বে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউককে নির্দেশ দেন মো. তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে আইন ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে অপরিকল্পিতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ৯৯ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে নিয়ম অমান্য করে। রাজধানীর অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নেই। আর এই সেপটিক ট্যাংক না থাকায় সুয়ারেজ লাইন খাল ও লেকে সরাসরি দিয়ে দেন। এতে করে খাল ও লেকের পানি দূষিত হয়ে মাছসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচে না।

তিনি বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ বেড়েছে। ‌পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে ময়লা-আবর্জনা। আগে একটি ব্যাগে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হতো। এখন প্রতিটি উপকরণের সাথে একটি ব্যাগ দেওয়া হয় যার ফলে বাসা-বাড়িতে ময়লা বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ময়লা আবর্জনা একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। আর এই চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীর অন্য দেশেও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার। খুব শিগগিরই ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি জানান, রাজধানী ঢাকাকে একটি আধুনিক, দৃষ্টি নন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী গড়তে উভয় সিটি করপোরেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক দখল হওয়া খাল উদ্ধার করা হয়েছে। খালগুলো সংস্কার ও পুনঃখনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে। গৃহীত কাজ সমাপ্ত হলে শহরের অনেক পরিবর্তন আসবে।

মন্ত্রী বলেন, সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। আইনই মানুষকে সভ্য করেছে। আইন সবার জন্য সমান। মন্ত্রী-এমপি, মেয়র এবং ক্ষমতাবানদের জন্য আলাদা কোনো আইন নেই। কাউকে ছাড় দিবেন আর কাউকে ধরবেন এটা হবে না। রাষ্ট্রকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি অর্পিত দায়িত্ব সাহসিকতার সাথে পালন করে তাহলে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।

উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট।

এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।