ন্যাভিগেশন মেনু

রাতভর বিয়ে বাড়ি খুঁজে না পেয়ে, বউ ছাড়া বাড়ি ফিরলেন বর


বড় আশা করে এসেছিলেন, বউ নিয়ে বাড়ি পিরবেন। বিয়ে করতে বেরিয়ে কনের কাছে পৌঁছতেই পারলেন না বর ও তাঁর সঙ্গী বরযাত্রীরা।  না, কোনও দুর্ঘটনা হয়, বিয়ের আসরের ঠিকানাই খুঁজে পেলেন না তাঁরা! এমনটা আগে কখনও শুনেছেন? এমনই অদ্ভুত ঘটনাই ঘটল উত্তরপ্রদেশে।

ঘটনা গত ১০ ডিসেম্বরের। উত্তরপ্রদেশের মৌ এলাকার কনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়তে সেজেগুজে বরযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন বর। গন্তব্য আজমগড়। কনের দেওয়ার ঠিকানা মতোই এগোচ্ছিলেন।

কিন্তু কিছুতেই বিবাহ অনুষ্ঠানের হদিশ মিলল না। এমনকী রাতভর বহু খুঁজেও গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেন না তাঁরা। মেজাজ হারিয়ে অগত্যা বাড়িই ফিরে গেলেন বর ও তাঁর সঙ্গী-সাথীরা। কিন্তু কীভাবে এমনটা সম্ভব? উন্নত প্রযুক্তির যুগে অনায়াসে কোনও ঠিকানা খুঁজে বের করা যায়।

তাছাড়া অন্তত একটা ফোন করেও সঠিক স্থানটি জেনে নেওয়া সম্ভব। তাহলে কে রাতভর খুঁজেও বিয়ে না করে বাড়িই ফিরে যেতে হল বরকে? এখানেই টুইস্ট। যা সিনেমাকেও হার মানায়। আসলে বিয়ের আগে পাত্রী বাড়িতেই আসেনি পাত্রের পরিবার। কথা হয় ফোনে-ফোনেই। আর সেখানেই পাত্রের বাড়ির লোকেদের থেকে ২০ হাজার টাকা চেয়ে নেয় কনে। বলে, বিয়ের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন ওই অর্থ।

নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চলার আনন্দে সে টাকা পাত্রীর কাছে পৌঁছেও দেওয়া হয়। আর তারপর বিয়ে করতে এসে এই হাল হয়! এই বিয়েতেই মধ্যস্থতা করেছিলেন এক মহিলা। তিনিই পাত্র পক্ষের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই পাত্র ও তাঁর পরিবারের সব রাগ গিয়ে পড়ে সেই মহিলার উপরই। জানা গিয়েছে, রাতে নাকি তাঁকে ধরে আটকে রেখেছিলেন বরযাত্রীরা। ঘটনা গড়ায় থানা পর্যন্ত।

কাটোয়া থানার সিনিয়র সাব-ইন্সপেক্টর শামশের যাদব জানান, ওই মধ্যস্থতাকারী মহিলার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে পাত্রের পরিবার। প্রাথমিকভাবে উভয়পক্ষকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে তারা কোনও সমাধানে পৌঁছতে না পারলে অন্য পথেও হাঁটতে পারে পুলিশ।

এস এস