ন্যাভিগেশন মেনু

রামুতে বন্য হাতির মৃত্যু, পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ


কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিন মিঠাছড়িতে বনাঞ্চলের ভেতর একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। এটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।

রবিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরের দিকে ইউনিয়নের খরলিয়াছড়া শাইরার ঘোনা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

তবে স্থানীয় জনগণ ও পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেছেন,পরিকল্পিতভাবে এই হাতিকে হত্যা করা হয়েছে।

হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টো।

চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টো বলেন, কিভাবে হাতিটি মারা গেছে তা স্পষ্ট করে বলতে পারবো না। স্থানীয় মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে হাতিরটির মৃত্যুর কারণ জানতে চেষ্টা করছেন বলে গণ্যমাধ্যমকে জানান তিনি।

স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানিয়েছেন, হাতির মৃত্যুর কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। উপরের অংশে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে হাতিটি বেশ বয়স্ক। ভেটেনারি সার্জন এসে নমুনা নিয়ে গেছে। পরীক্ষার পর মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ,ফরিদুল আলম, আলমগীর হোসেন জানান, 'দক্ষিণ বনবিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের আওতাধীন শাইরার ঘোনা নামক এলাকায় নুরুল হক নামের এক ব্যক্তি প্রায় ১০০ ফুট তার দিয়ে বনাঞ্চলের ভেতর তার প্রোজেক্টে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়। ওই জায়গায় দিয়ে প্রায় সময় হাতির চলাচল করে। ওই পথ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।'

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবেশবাদীরা জানিয়েছে,  হাতিটি  রাতের বেলায় লোকালয়ের কাছাকাছি এসে ধানক্ষেতসহ বিভিন্ন ক্ষেত খেয়ে ফেলছে এবং নষ্ট করে ফেলছে। তাই এলাকার কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে হাতিটিকে হত্যা করেছে।

স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, যেখানে মৃত হাতিটি পড়ে রয়েছে সেটি জোত জমি। এর পাশেই বন। ঘটনাস্থলের প্রায় ২০০ মিটার দূরে বাড়িঘর রয়েছে। এসব বাড়িঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। হাতিটিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। যেকোন ভাবে হত্যা করার আলামত পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঘটনার প্রায় ১৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও হাতি হত্যার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা জানে না কক্সবাজারের পরিবেশ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার পরিবেশ অধিপ্তরে উপ-পরিচালক এই তথ্য পাননি বলে জানান।

সিবি/এডিবি