ন্যাভিগেশন মেনু

রায়হান হত্যা: কনস্টেবল হারুন ৫ দিনের রিমান্ডে


সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদের  হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (২৪শে অক্টোবর) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩য় আদালতে তাকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক শারমিন খানম নীলা তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) খালেকুজ্জামান।

গত ১০ অক্টোবর রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের তদন্তে গত ১১ অক্টোবর এসএমপির উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। বন্দরবাজার ফাঁড়িতেই পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, নির্যাতনে সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া, টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর রায়হানকে ধরে ফাঁড়িতে আনার জন্য বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই আশেক এলাহী, কুতুব আলী, কনস্টেবল সজীব হোসেনকে। পরবর্তীতে ২১ অক্টোবর ওই ঘটনায় ফাঁড়ির টু আইসি এসআই হাসান উদ্দিনকেও সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

ঘটনার মূল অভিযুক্ত বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ফাঁড়ি হতে পালাতে সহায়তা করা ও তথ্য গোপনের অপরাধে হাসানকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

রায়হান হত্যার ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর এসআই আকবর ও কনস্টেবল হারুনুর রশিদসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করলেও পালিয়ে যায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর।

প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন করা হয় নগরীর নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রায়হানকে (৩৩)। ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলায় নিহতের স্ত্রী উল্লেখ করেন, বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

ওআ/