ন্যাভিগেশন মেনু

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা: ছয় পুলিশের বিরুদ্ধে চার্জশিট ৫ মে


সিলেটের কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র বুধবার (৫ মে) আদালতে দাখিল করবে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআইর সিলেট জেলার পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান এই তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, অভিযোগপত্রটি যাতে ত্রুটিমুক্ত থাকে তাই সময় নিয়ে তদন্ত শেষে তা বুধবার (৫ মে) দুপুরে আদালতে জমা দেওয়া হবে। অভিযোগপত্রে ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবরকে প্রধান আসামি করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

গত বছরের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে কাষ্টঘর এলাকা থেকে ধরে নিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

নির্যাতনের সময় এক পুলিশের মুঠোফোন থেকে পরিবারকে ফোন করে টাকা চাওয়ার অভিযোগও ওঠে। পরিবারের সদস্যরা সকালে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের লাশ শনাক্ত করেন। 

এ ঘটনার শুরুতে ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরীর কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচার চালায় ওই ফাঁড়ির পুলিশ। কিন্তু গণপিটুনিস্থল হিসেবে যে স্থানটির কথা বলেছিল পুলিশ, সেখানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ওই রকম কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি।

রায়হান ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হলেও নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ ছিল পুলিশ ধরে নিয়ে ফাঁড়িতে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে সিলেট মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর ও পরিদর্শ (এএসআই) আশেকে এলাহীসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে।

পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চালায় পিবিআই। পরে মরদেহ কবর থেকে তুলে পুনঃময়নাতদন্ত করা হয়। রায়হানের দেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন মেলে ফরেনসিক রিপোর্টে।

পরে মামলার প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওয়াই এ/এডিবি/