ন্যাভিগেশন মেনু

রিজেন্ট হাসপাতালের সাতজনের ৫ দিনের রিমান্ড


করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, প্রতারণা ও বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তবে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রিমান্ড শুনানিকালে তাদের আদালতের এজলাসে তোলা হয়নি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে তাদের আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়।

এদিকে, করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ায় গতকাল মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পরপরই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা (মামলা নম্বর- ৫) করে র‌্যাব। এর মধ্যে আটজন গ্রেপ্তার রয়েছেন। ওই মামলায় শাহেদসহ নয়জনকে পলাতক হিসেবে এজাহারভুক্ত করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ (৪৩), ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), অ্যাডমিন আহসান হাবীব (৪৫), এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক (৩৩), গাড়িচালক আব্দুস সালাম (২৫), নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮), হাসপাতালের কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২) এবং মাহবুব (৩৮)। দু’জনের নাম জানা যায়নি।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন বিকেলেই উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র‌্যাব।

ওআ/