সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় মাদক যোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। গত ৮ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। এরপর তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। বারবার জামিনের আবেদন খারিজ হয় তাঁর। ঠাঁই হয় মুম্বইয়ের মহিলা জেল, বাইকুল্লা জেলে। নিয়ম অনুযায়ী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ আজকে পর্যন্ত তাঁর জুডিশিয়াল কাস্টডির মেয়াদ ছিল।
এবার ফের তাঁর জেলে থাকার মেয়াদ বাড়ল। আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাইকুল্লা জেলেই থাকতে হবে রিয়াকে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও জানা গিয়েছে, রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিক পুনরায় জামিনের জন্য বম্বে হাই কোর্টে আপিল করেছেন। এই ভাইবোনের আইনিজীবী সতীশ মানশিন্ডে জানিয়েছেন বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই মামলা শুনানি রয়েছে।
সুশান্তের মৃত্যুর আগে কয়েক মাস ধরে তার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রিয়া। যার ফলে ১৪ জুন বান্দ্রার বাড়ি থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর রিয়াকেই কাঠগড়ায় তোলে প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। রিয়ার নামে মামলা দায়ের করেন সুশান্তের বাবা। রিয়া তার ছেলের টাকা নয়ছয় করেছেন এবং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শুরুতে মহারাষ্ট্র পুলিশের হাতে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তা সিবিআইয়ের হাতে চলে যায়। টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখার ভার পড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
এরপর প্রয়াত অভিনেতার মৃত্যুতে মাদক যোগও সামনে আসে। রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে বিষয়টি সামনে আসে। তা নিয়ে তদন্তে নেমে রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে ৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে এনসিবি। গ্রেপ্তার করা হয় সুশান্তের দুই কর্মচারীকেও। মাদক অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, রিয়া এই মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সুশান্তের জন্য কী মাদক আনা হবে, কখন তার ডেলিভারি নেয়া হবে এবং তার জন্য কত টাকা দিতে হবে, সুশান্তের সঙ্গে মিলে তিনিই সব ঠিক করতেন বলে আদালতে জানায় এনসিবি।
জেরায় রিয়া মাদক সেবন এবং তা সংগ্রহে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে এনসিবি জানায়। এমনকি নিজের বয়ানে বলিউডের বেশ কয়েক জন তারকার নামও তিনি ফাঁস করেছেন। যার মধ্যে শামিল রয়েছে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর, রাকুলপ্রীত সিংসহ অনেকে। তাদের সবাইকে এক এক করে জেরা করা হতে পারে।
ওআ/
