দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত বিবেচনায় সিলেট বিভাগের চার জেলাকে রেড জোনের আওতায় আনা হচ্ছে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।
শনিবার (৬ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ আপডেট করা তালিকায় সিলেটসহ দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে।
সিলেট বিভাগের রেড জোনের আওতাভুক্ত চার জেলা হচ্ছে- সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, রবিবার (৭ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৭৭ জন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৭ জুন) থেকেই কিছু জায়গায় জোনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে লকডাউন শুরু হচ্ছে। বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা সংক্রমণমুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে গ্রিন জোনে সতর্কতা এবং ইয়েলো জোনে সংক্রমণ যেন আর না বাড়ে সেজন্য পদক্ষেপ থাকলেও রেড জোনে করোনার বিশেষ গাইডলাইন অনুযায়ি কঠোর হবে পুলিশ।
সরকার সূত্রে জানা যায়, আগামী বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার থেকে লকডাউন কার্যকর হতে পারে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সিলেট ছাড়াও রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সবকটি জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন মানে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত দেখানো হচ্ছে।
এদিকে আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। আর লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি।
ওয়াই এ/ এডিবি
