ন্যাভিগেশন মেনু

রোজায় দাম নির্ধারণ না করায়, ৬০০ টাকা কেজি গরুর মাংস


রোজা আসলে প্রায় সব জিনিসের দামই বেড়ে যায়। তার ব্যতিক্রম হয়নি গরুর মাংসের দামও। আগে থেকেই দাম বেশি থাকা গরুর মাংসের দাম রোজার মধ্যে আরো বেড়েছে। রোজার আগে কোথাও কোথাও ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হলেও এখন কোথাও গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকার নিচে মিলছে না।

বুধবার (৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করছেন ৬০০ ও ৬২০ টাকায়।

প্রতিবছর রোজায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু এবারের রোজায় গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়নি সিটি করপোরেশন। এ কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামাফিক দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

অপরদিকে, বিক্রতারা বলছেন, মহামারি করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় রাজধানীতে গরু ঠিকমতো আসছে না। যেসব গুরু আসছে তার পরিবহন খরচ অনেক বেশি। ফলে বাজার থেকে বাড়তি দামে গরু কিনে আনতে হচ্ছে। এ কারণে মাংসও বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি দামে।

মোহাম্মদপুরে  মাংস  ব্যবসায়ী হৃদয় বলেন, ‘আমার এখানে ৬২০ টাকা কেজি গরুর মাংস  বিক্রি করছি। দাম একটু বেশি, কিন্তু মাংস পাবেন ফ্রেশ। কোনো ভেজাল হবে না। সব দোকানের মাংস থেকেই পানির ফোঁটা পড়ছে। এসব মাংস পানিতে চুবিয়ে রেখে ওজন বাড়ানো হয়। ওই মাংস ৬০০ টাকা দিয়ে কেনার থেকে আমার মাংস ৭০০ টাকা দিয়ে কেনাও লাভ। কিন্তু আমি কেজিতে মাত্র ২০ টাকা নিচ্ছি।’ 

গরুর মাংস কিনতে আসা আশিক বলেন, ‘রোজায় গরুর মাংসের চাহিদা একটু বেশি থাকে। এ কারণে এর আগে প্রতিবছর দেখেছি রোজায় সিটি করপোরেশন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু এবার দাম নির্ধারণ করা হয়নি। ব্যবসায়ীরা তার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামাফিক দাম বাড়াচ্ছে। আসলে এই সময় মানুষ সবাই বিপদে আছেন। কিন্তু কিছু মানুষের মানবতা ঠিকই লোপ পেয়েছে। বিপদে তারা সুযোগ খুঁজছে। ইচ্ছে করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে।’

ওআ