ন্যাভিগেশন মেনু

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাইলো যুক্তরাষ্ট্র, আটক ১ রোহিঙ্গা


রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড ঘটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে  সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাইলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মো. মুহিবুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। এ জঘন্য ওই অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করতে তিনি ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চেয়েছেন।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে মুহিবুল্লাহ হত্যার বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ আহ্বান জানান। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের ওই বিবৃতিটি প্রচার করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

 অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যার খবর আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত-বিপর্যস্ত করেছে। সারা বিশ্বে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সুরক্ষায় তিনি ছিলেন এক সাহসী এবং শক্তিশালী প্রচারক।

তিনি জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের পাশাপাশি ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক মন্ত্রীপর্যায়ের সভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ধর্মীয়ভাবে নিপীড়িত হওয়া জনগোষ্ঠী হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছিলেন।

এদিকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম (২৭) নামে একজনকে আটকের কথা জানিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে উখিয়া ক্যাম্প-৭ এ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাইমুল হক জানান, উখিয়া ক্যাম্প-৭ এ অভিযান চালিয়ে মো. সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম (২৭) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে মুহিবুল্লাহকে হত্যায় উখিয়া থানায় মামলা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়া থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ। তবে সেখানে আসামির কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। ৪৮ বছর বয়সী মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। বুধবার রাতে লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন তিনি। জেনিভায় রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার সংস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।

এস এস