ন্যাভিগেশন মেনু

র‌্যালি-বেলুন উড়িয়ে বরগুণার ইলিশ উৎসবে ৯৯ পদ


শারদীয় দূর্গাপুজোর শুভেচ্ছা স্বরুপ একদিকে কলকাতার বাজারে যাচ্ছে ৫০০ টন ইলিশ। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে মঙ্গলবার রাতে গেল শুল্কমুক্ত ৩০ টন ইলিশ। ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাকি ইলিশ পাঠানো শেষ হবে।

অন্যদিকে বসে নেই বঙ্গোপসাগর বিধৌত বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনা। আজ বুধবার ঘটাকরে  সার্কিট হাউস মাঠে বেলুন উড়িয়ে বুধবার ইলিশ উৎসবের উদ্বোধন করা হলো। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা-১ আসনের সংসদ্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ্, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বেলুন উড়িয়ে ইলিশ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসন ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে প্রথমবারের মতো বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে দিনব্যাপী ইলিশ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে। এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও স্থানীয় সুশিল সমাজসহ জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। ইলিশের ওপরে একটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শনের পরে স্টলগুলো পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

ইলিশ উৎসবে দিনব্যাপী এ মেলা মাঠে বরগুনা সদরসহ প্রত্যেক উপজেলার স্টল রয়েছে। এতে ইলিশের নিরানব্বই আইটেমের খাবার ও টাটকা ইলিশ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, বরগুনাকে যেন ইলিশের জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বলবো এবং সামনে একনেকের সভায় উত্থাপন করবো।

তাছাড়া ইলিশের এই উৎসবকে প্রতি বছর জাতীয় ইলিশ উৎসব হিসেবে পালন করা হয় সেজন্য ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবো।

বরগুনা জেলা প্রশাসন মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশসহ ১০টি দেশে ইলিশ পাওয়া যায় তার মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমানায় ৬৬ ভাগ পাওয়া যায়, যার মধ্যে বরগুনা জেলায় এক পঞ্চমাংশ পাওয়া যায়।

একটি ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র ও ইলিশ মিউজিয়াম স্থাপন, মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সর্বস্তরের জনগণের মেলবন্ধন, মাছ ধরার নৌকাগুলো আধুনিকায়নকরণ, ইলিশ অবতরণের ঘাট আরও আধুনিক করার দাবি জানান তিনি।

আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন - Ajker Bangladeshpost

এস এস