নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঢাকার রাজাবাজারের পর এবার লকডাউনের আওতায় এলো রাজধানী ঢাকার ওয়ারী এলাকা।
ওয়ারীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৭৩ জন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় শনিবার (৪ জুলাই) থেকে ২১ দিনের জন্য ওয়ারীর এক বর্গকিলোমিটারের সব বাসিন্দা লকডাউনে থাকবেন।
সরকারি নির্দেশ মোতাবেক লকডাউন বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাস্তাবায়নকারী সংস্থা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
সিটি কর্পোরেশন বলছে, কেউ লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লকডাউন এলাকা থেকে কেউ বের হতে বা প্রবেশ করতে পারবেন না। এলাকাটির সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস ২১ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।
শুধু ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এলাকার বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকতে হবে। লকডাউনে থাকা এলাকার সকল নাগরিককে প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছে দেওয়া হবে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নজরদারি ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।
লকডাউনের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ওয়ারী বলধা গার্ডেনে একটি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে।
রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করার জন্য সার্বিক
ওয়ারী এলাকার আউটার রোডগুলো হলো: টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন)। ইনার রোডগুলো হচ্ছে: লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যা নকিন স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট।
লকডাউনের আওতায় যে নাগরিকরা থাকবেন, তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুই সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেওয়া হবে। খাবার, ওষুধ ও সহযোগিতা নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে।
লকডাউন এলাকায় জরুরি পরিবহন যাতায়াতের জন্য দুটি গেট খোলা থাকবে, বাকি সব বন্ধ থাকবে। কেউ নিয়ম অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
গত ৩০ জুন বিকেলে দক্ষিণ সিটির নগর ভবনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ওয়ারী এলাকা লকডাউনের ঘোষণা দেন। ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ২১ দিন লকডাউন কার্যকর থাকবে।
এস এস