ন্যাভিগেশন মেনু

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন: রাস্তা ফাঁকা থাকলেও কাঁচাবাজারে ভিড়


করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। গতকালের মতোই আজও রাস্তায় রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপড়তা লক্ষ্য করা গেছে। তবে কাঁচাবাজারগুলোতে ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়।

আজ শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীতে চলছে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। এছাড়া সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটে এমনিতেই যান চলাচল কম। বিভিন্ন সড়কে অল্প কিছু রিকশা, মাইক্রোবাস, ট্রাক, কার্ভাডভ্যান, পিকআপ চলাচল করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, তেজগাঁও, মালিবাগ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বড় রাস্তাগুলোতে লোক সমাগম না থাকলেও বিভিন্ন গলি, কাঁচাবাজারগুলোতে লকডাউনের কোনো বালাই নেই। চায়ের দোকানে আড্ডা অন্যান্য দিনের মতোই। কারও মুখে মাস্ক আছে তবে বেশিরভাগেরই নেই। দু'একজন পুলিশকে ডিউটে দেখা গেলেও তাদের খেয়াল অন্যদিকে।

রামপুরা কাঁচা বাজারে রানা সরকার নামে একজনের কাছে লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বাজারে এসেছেন বিশেষ কোনো কারনে? এমনটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গতকাল বাসা থেকে বের হইনি, সকালে এক বন্ধু বললো বাজারে সবকিছু খোলা, তাই আসলাম যদি মাছ-সবজি কিছু কেনা যায়। না আসলেও হতো। তাছাড়া অনেক মানুষইতো বাজারে আসছে, আমাকে জিজ্ঞেস করেন কেন?'

রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিলে সুনশান নিরবতা লক্ষ্য করা গেছে। রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট। তারা গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভার ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

তেজগাঁও-গুলশান লিংরোডের জিএমজি মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। সেখানে গাড়ি, মোটরসাইকেল থামিয়ে জিজ্ঞাসাবা করছে পুলিশ।

তাছাড়া বৃষ্টির দিন হওয়ায় সকালের দিকে সড়কে মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ব্যক্তিগত যানবাহনও তেমন একটা দেখা যায়নি।

গতকাল (১ জুলাই) লকডাউনের প্রথমদিনে ঘরের বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীর রমনা, লালবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৪১ ব্যক্তি আটক হয়। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৫০ জন। বাকিদের পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ বলছে, আটক ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বাইরে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি।

এ ছাড়া বিধিনিষেধ অমান্য করায় ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত মোট ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন এবং সাজা দিয়েছেন আটজনকে।

তাছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক থেকে ট্রাফিক বিভাগ মোট ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মোট ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করেছে এবং জব্দ করেছে ৬টি যানবাহন।

এডিবি/