ন্যাভিগেশন মেনু

লকডাউনে ভালো নেই পত্রিকার হকাররা


ভোলায় কঠোরভাবে চলছে লকডাউন। জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোতেও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিনা কারনে ঘর হতে বের হলে জরিমানা গুনতে হয় মানুষকে। এতে খেটে খাওয়া মানুষের সাথে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছে পত্রিকা বিক্রেতারা।

তাদের আগের মতো আর পত্রিকা বিক্রি হচ্ছে না। তাই তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এই দুঃসময় কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি এমন অভিযোগও করছেন পত্রিকা বিক্রেতারা। এছাড়া লকডাউন আরও বাড়ানো হয়েছে খবর শুনে তাদের চোখে মুখে চিন্তার ভাঁজ দেখা গেছে।

ভোলা সদরে পত্রিকাবিক্রেতা মো. জাফর হোসেন আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, 'লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকলেও পত্রিকা অফিস খোলা রয়েছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের কাছে পত্রিকা বিক্রি করছি। কিন্তু লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় আগের মতো পত্রিকা বিক্রি হচ্ছে না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। কেউ আমাদের খবর নেয় না।'

তজমুদ্দিনে পত্রিকাবিক্রেতা মো. রাসেদ জানান, 'লকডাউনের কারনে সব কিছু বন্ধ থাকার কারনে পত্রিকা তেমন বিক্রি হয় না। সকাল হতে বিকাল পর্যন্ত রাস্তার অলিগলিতে হেটে ক্রেতা পাচ্ছি পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমাদের সহযোগিতা করুন।' 

বোরহানউদ্দিনে পত্রিকাবিক্রেতা মো. কামাল হোসেন জানান, 'সবকিছু বন্ধ কার কাছে পত্রিকা বিক্রি করমু! আমি পত্রিকা বিক্রি করেই সংসার চালাই। তাই এখন কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। এ লকডাউনে আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তবে আমারা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। তাই আমরা সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।'

এ ব্যাপারে ভোলা জেলা সংবাদপত্র হর্কাস ইউনিয়নের সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমান সুমন বলেন, 'করোনাকালীন এই সময়ে ভোলা জেলার ৬০-৭০ জন পত্রিকা বিক্রেতারা খুবই কষ্টে আছে। করোনাকালীন অদ্যবধি কোন সহযোগিতা পাইনি। এখন লকডাউনে সবকিছু বন্ধ তাই পত্রিকা কম বিক্রি হচ্ছে। এতে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছি আমরা। তাই আমাদের পত্রিকা বিক্রেতাদের কথা চিন্তা করে সরকার যদি একটু সহযোগিতা করতেন আমরা কৃতজ্ঞ থাকতাম।'

এএম/সিবি/এডিবি/