ন্যাভিগেশন মেনু

লক্ষীপুরে আ. লীগ নেতা হারুনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা


লক্ষীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর বড়ই পুকুর পাড়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গুলি ও কুপিয়ে আওয়ামী লীগ  নেতা হারুনুর রশিদ (৬০) কে হত্যা করেছে। নিহত হারুন সদর উপজেলার বসিক ইউনিয়নের স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৃত হোসেন আহমদের ছেলে।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাত প্রায় সাড়ে ৮টার দিকে বড়ই পুকুর পাড়ে অবস্থিত একটি টি স্টলে চা খাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হারুনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে গুরুতর যখম হয় হারুন।

স্বজনরা মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনোয়ার হোসেন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে রেফার করে। পরে লক্ষীপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে রাত দেড়টার দিকে হারুন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হারুন তার বাড়ীর পাশে চায়ের দোকানে আড্ডারত অবস্থায় ছিলেন। হঠাৎ সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে ৪-৫ জনের সন্ত্রাসী দল এসে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার মাথা, গর্দান, দুই হাতে, পায়ে, উরুতে ও মাথার পেছনে প্রায় সমস্ত শরীর রক্তাক্ত জখম করে।

আতঙ্ক ছড়াতে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি ফাঁকা গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ও পরে লক্ষীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর অবস্থার অবনতিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘নিহতের শরীরে বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র আঘাতে গভীর রক্তাক্ত কাটা ও গুরুতর যখমের চিহ্ন রয়েছে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।

জেলা আ’লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগ সভাপতি একেএম সালাহউদ্দিন টিপু পৃথক বিবৃতিতে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষীপুর -২ আসনের এমপি নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ‘আওয়ামীলীগ নেতার উপর সন্তাসী হামলায় বিএনপি জামায়াত জড়িত। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে আবারো নষ্ট করতে চাইছে। জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন এ সাংসদ। দীর্ঘ দু’বছর শান্ত থাকার পর এ হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে শান্ত লক্ষীপুর আবারো অশান্ত হয়ে ওঠেছে বলে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা ষ্টেডিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংসদ নয়ন মন্তব্য করেন। প্রশাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় যে কোনো পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

এ ব্যাপারে লক্ষীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘সিএনজিযোগে এসে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত এ হামলা চালায়, এ ঘটনার তদন্তসহ জড়িতদের পাকড়াও করতে পুলিশ কাজ করছে।’

এম এম/এমআইআর/ওআ