লক্ষ্মীপুর জেলার উত্তর চন্দ্রপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে চারজন মিলে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে মোরশেদ আলম সোহেল (৩২) ও মো. সোহেলকে (৩৫) নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের বিশেষ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক।
মামলার অন্য আসামিরা হলো - সদর উপজেলার স্থানীয় উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবিদ মিয়ার পুত্র মো. বাচ্চু (৩৮) ও হরিহর চক্র গ্রামের নুরুল ইসলাম ড্রাইভারের পুত্র সোহেল আহাম্মদ (৩৫)।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট মধ্যরাতে ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও স্বর্ণালংকার লুট করার অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হাজিরপাড়া ইউপির উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামে মালেয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে তার বসতঘরে ঢুকে জোরপূর্বক চারজনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই গৃহবধূকে মারধর করে তার গলার চেইন, কানের দুল ও ২টি আংটি নিয়ে যায় ধর্ষকরা। এ সময় গৃহবধূ বসতঘরে একাই ছিলেন। তার আট বছরের একটি কন্যা শিশু সন্তান তখন তার নানার বাড়িতে ছিল।
পরদিন মঙ্গলবার গৃহবধূ নিজে বাদি হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আনোয়ার হোসেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বুধবার রাতে মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এমএম/এসএ/এডিবি/
