ন্যাভিগেশন মেনু

লিঁওর বিপক্ষে হার জুভেন্টাসের


চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ঘরের মাঠে জুভেন্টাসকে হারিয়ে ১-০ গোলে জিতেছে লিও। বুধবারের (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন লুকাস তুজা।

জুভেন্টাসের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, পাওলো দিবালারা অন্তত এই ম্যাচে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।

লিগ ওয়ানে বাজে সময় কাটানো লিওঁ চ্যাম্পিয়নস লিগের বড় মঞ্চে গর্জে ওঠেছিল। শুরু থেকে সফরকারী রক্ষণে চাপ প্রয়োগ করেন।

একবার গোলবারে লেগে গোলবঞ্চিত হলেও সেই আক্ষেপ জুড়ায় তাঁরা ৩১ মিনিটে, যখন লুকাস তোসার্তের গোলে গ্যালারিতে ওঠে সমুদ্রের গর্জন। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে যান হোসেম অয়ার। তাঁর ক্রস থেকে বাঁ পায়ের ভলিতে জাল খুঁজে পান তোসার্ত। এটাই এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর প্রথম গোল।

এই গোলের পর আরও প্রায় এক ঘণ্টা সময় পেলেও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ জুভেন্টাস। শেষ বাঁশি বাজার মিনিট তিনেক আগে পাউলো দিবালা বল জালে জড়ালেও অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় সেটি।

তিনি একাদশে থাকার পরও গোটা ম্যাচে একবারও গোলমুখে শট নিতে পারেনি জুভেন্টাস! বল পজেশন (৬৪ শতাংশ) ও পাস বেশি খেললেও গোলের সামনে অসহায় ছিল জুভেন্টাসের আক্রমণভাগ।

জুভেন্টাস কোচ মাউরিজিও সারির কাছে, ‘কেন? এই ব্যাখ্যা দেওয়া কঠিন। তবে এটা বলতে পারি প্রথমার্ধে আমরা বল আদান-প্রদানে মন্থর ছিলাম, যে কারণে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারিনি।’

খেলোয়াড়দের নিয়ে কিছুটা বিরক্তও সাবেক চেলসি কোচ, ‘আক্রমণে আমাদের পরিকল্পনা ও আগ্রাসী মনোভাবে বেশ ঘাটতি ছিল। রক্ষণভাগেও ঘাটতি ছিল। দ্বিতীয়ার্ধ ভালো ছিল, কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। আমি জানি না কেন আমি খেলোয়াড়দের বোঝাতে পারছি না দ্রুত বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’

ওআ/এডিবি