ন্যাভিগেশন মেনু

শখের বশে পাখি পালন শুরু করে এখন খামারের মালিক হাবীব


নড়াইলের লোহাগড়ার এম এম হাবীব নেওয়াজ (হাবীব) শখের বশে পাখি পালন শুরু করে এখন লাভজনক পাখির খামারের  মালিক।

লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া (দক্ষিণ) গ্রামের বাসিন্দা হাবীব নেওয়াজ নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গাড়িচালক। চাকরির পাশাপাশি পাখির খামার থেকে প্রতিমাসে বাড়তি আয় করেন ১০-১২ হাজার টাকা।

হাবীবের পরামর্শ, 'মাদক ছেড়ে যুবসমাজকে পাখির খামার করে স্বাবলম্বী হতে হবে। বেকার বসে থাকলে যৌবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। এই মূল্যবান সময়টা নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করতে সহায়তা করবে।'

সফল পাখি ব্যবসায়ী হাবীব জানান, ২০১৯ সালের শেষের দিকে লোহাগড়ার সিঅ্যান্ডবি চৌরাস্তা সংলগ্ন মিয়া বাড়িতে মাত্র দুই জোড়া পাখি দিয়ে শখের বশে পাখির খামার শুরু করেন। সঠিক পরিচর্যা ও আগ্রহে ধীরে ধীরে খামারে বাড়তে থাকে পাখির সংখ্যা। বর্তমানে খামারে রয়েছে ৪০ জোড়া দেশি-বিদেশি প্রজাতির পাখি।

লাভ বার্ড, ককাটিয়েল, গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ, পাইনাপেল কুনুর, টারকুইজিন, লং টেইল ফিঞ্চ, অস্ট্রেলিয়ান ডাভ, সিলভার ডাভ-সহ দেশি প্রজাতির টিয়া, ঘুঘু পাখিও রয়েছে খামারে।

বিদেশি পাখির বাচ্চা প্রতি জোড়া চার থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন হাবীব। প্রতিমাসে সব খরচ বাদে অন্তত ১০-১২ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।

হাবিব বলেন, খামারে বর্তমানে যে পাখি রয়েছে, তার বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। পাখি ডিম পাড়ে। পরে সেই ডিম থেকে  সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বাচ্চা ফুটিয়ে বাজারে বিক্রি করেন হাবীব।

হাবীব আরও জানান, বিদেশি পাখির খাবারের সংকট রয়েছে। চিনা, কাউন, ক্যানারি, সূর্যমুখী বীজ, কুসুম দানা এসব পাখিদের খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। লোহাগড়ায় অনেক খাবার পাওয়া যায় না, তাই যশোর থেকে আনতে হয়। খরচ পড়ে বেশি। 

পাখির খামার আরও বেশি বড় করতে চান হাবীব। তাই সরকারি ও সহজ শর্তে ব্যাংক লোন প্রয়োজন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লেলিন প্রধান জানান, পাখির খামারিরা যে কোনও সময় চিকিৎসা  সহযোগিতা নিতে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসতে পারেন। সাধ্যমতো আমরা চিকিৎসা দিয়ে থাকি। খুব সহজেই পাখির খামার  লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।

আইএইচ/এডিবি/