ন্যাভিগেশন মেনু

মিয়া-বিবি রাজী তো- কেয়া করেগা কাজী’ ধর্ষিতাকে বিয়ে জামিন পেল ধর্ষক


‘মিয়া-বিবি রাজী তো- কেয়া করেগা কাজী’। এই প্রবাদ বাক্য এবার মিলল বাংলাদেশের দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা ঝালকাঠিতে। ধর্ষিতাকে বিয়ে করে ঘরে তুলে জামিন পেল ধর্ষক।

আদালতের এজলাস কক্ষেই ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে নির্যাতিত তরুণীর বিয়ে হয়েছে। বিয়ে পর্ব সারার পর বিচারক আসামিকে জামিন দেন। আজ রবিবার দুপুরে ঝালকাঠির অবকাশকালীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. শহিদুল্লাহর আদালতে এ ঘটনার সাক্ষী হলেন অনেকেই।

ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম সরদারের (২২) বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়। তিনি একজন ইলেকট্রিশিয়ান। আর ভুক্তভোগী তরুণীর (১৮) বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলায়। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল মান্নান বলেন, ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিচারকের নির্দেশে দুই পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান কাজি মাওলানা মো. সৈয়দ বশির। বিয়ে শেষে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টিমুখ করান বিচারক মো. শহিদুল্লাহ। পরে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

পিপি আবদুল মান্নান বলেন, ২০১৯ সালের শুরুর দিকে মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে নাঈম ও ওই তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাঈম ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তরুণী একটি নালিশি মামলা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. শহিদুল্লাহ নির্যাতনের শিকার তরুণীর অভিযোগ ঝালকাঠি থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। ১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়।

মামলার একমাত্র আসামি নাঈমকে তাঁর বাবা আনোয়ার হোসেন ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই)  মো. নাজমুজ্জামান আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠান। আদালত নাঈমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।

আজ রবিবার অবকাশকালীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ জামিন শুনানির সময় আসামি ওই তরুণীকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই প্রস্তাবে তরুণীর পরিবার রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালতের এজলাস কক্ষে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের নির্দেশ দেন।

বিয়ের পর আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

এস এস