চতুর্থ বৈশ্বিক সেরা বিজ্ঞানী সম্মেলন ১ নভেম্বর শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৬৮ জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীসহ বিশ্বের অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী অংশগ্রহন করেন। অংশগ্রহণকারীরা বৈশ্বিক সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্মুক্ত আদানপ্রদান ও আলোচনার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক উত্তর অনুসন্ধান করেন।
এবারের সম্মেলন বিশ্ব শীর্ষ বিজ্ঞানী সমিতি ও চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমিতি যৌথভাবে আয়োজন করে। চীনের গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইস চেয়ারম্যান, চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমিতির চেয়ারম্যান ওয়াং কাং ফোরামে বলেন, করোনা মহামারী এখনো অব্যাহত রয়েছে। ঘন ঘন ভাইরাসের নতুন নতুন প্রজাতির জন্ম হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়ন অভূতপূর্ব আঘাত পেয়েছে। একযোগে করোনা মহামারী প্রতিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও কার্বন-নিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন সবার অভিন্ন লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
ওয়াং কাং বলেন,“গোটা মানব জাতির লক্ষ্যের সঙ্গে জড়িত অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতে আরো উন্নত মানের উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতা দরকার। অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়নের জন্য আমাদের পদ্ধতিগত ও উচ্চ গুণগত মানের গবেষণামূলক পরিকল্পনা প্রদান করা উচিত, যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের অভিন্ন উদ্বেগ নিরসন হয়।”
তিনি বলেন, চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত বরাবরই বিশ্বের উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতার বাস্তব উদাহরণ, প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনার অংশগ্রহণকারী এবং উদ্ভাবন ও উন্নয়নে অবদানকারী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে দেশের সীমানামুক্ত, বাধা মুক্ত, ও বৈষম্যমুক্ত চেতনা ও সহযোগিতার ধারণা ধারণ করার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি জাতিসংঘ-২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে, বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের আদানপ্রদান ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সহযোগিতা জোরদার করে, উচ্চ মানের উন্মুক্ত, সহযোগিতামূলক ও কার্যকর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাতে হাত রেখে একযোগে মানব জাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানান তিনি।
বিশ্ব শীর্ষ বিজ্ঞানী সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০১৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মাইকেল লেভিট ফোরামে উন্মুক্ত বিজ্ঞানের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,“আমরা মনে করি, আদানপ্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞান খাতের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা স্থাপন সম্ভব। যাতে বিজ্ঞানীদের আদানপ্রদান ও সহযোগিতা এগিয়ে যাবে। আমরা উদ্যোগ উত্থাপন করেছি, গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন বিজ্ঞানী গোষ্ঠী ও বিভিন্ন একাডেমিক পটভূমির বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান খাতের গবেষকরা একযোগে প্রচেষ্টা চালাবেন, একযোগে উন্মুক্ত বৈজ্ঞানিক কাজকর্মে অংশগ্রহন করবেন। তারা একযোগে মানব জাতির সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অবদান রাখবেন।”
এ দিন সম্মেলনের সংগঠক ঘোষণা করেন, আনুষ্ঠানিকভাবে “বিশ্ব শীর্ষ বিজ্ঞানী সমিতি পুরস্কার” প্রতিষ্ঠা করা হবে। যা বিশ্বব্যাপী অসাধারণ অবদানকারী বিজ্ঞানীদেরকে পুরস্কৃত করবে। - তথ্যসূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ