ন্যাভিগেশন মেনু

শার্শায় স্বামী-স্ত্রী ও মা-ছেলে করোনা আক্রান্ত


যশোরের বেনাপোল ও শার্শায় গত দুইদিনে স্বামী-স্ত্রী, মা-ছেলেসহ নয়জনের দেহে কভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ ৪ জন রয়েছেন।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের ল্যাবে পাঠানো নমুনা থেকে বেনাপোল-শার্শায় নয়জনের আক্রান্তের রিপোর্ট পেয়েছি তার মধ্যে এই চারজনও রয়েছেন। 

আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে বেনাপোলের পুটখালি ইউনিয়নের খলসি এলাকার নুরজাহান (৩৩) নামে একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী (এফডব্লিউএ) ও তার স্বামী চাকুরীজীবি সাইফুল ইসলাম (৩৮),  বেনাপোলের বড় আঁচড়া গ্রামের সানজেদা রহমান (৩৫) নামে এক গৃহিনী ও তার ১৪ বছরের ছেলে তাসিন (১৪), শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও বেনাপোলের রজনী ক্লিনিকের মালিক ডা. আমজাদ হোসেন (৬০), কাগজপুকুর এলাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আব্দুর রউফ (৩৫),  পাটবাড়ি এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৫৯), শার্শার কায়বা ধান্যতারা গ্রামের মেডিকেল টেকনেশিয়ান অহিদুজ্জামান (২৯), শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মদন বাসফড় (৩৫)।

করোনা আক্রান্তরা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। 

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, বেনাপোল ও শার্শার অবস্থা অনেক খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন প্রতিটি মানুষের উচিৎ ঘরে থাকা। এ জন্য তিনি শার্শার সচেতন জনগনকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচল করতে বলেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

এডিবি/