যশোরের শার্শায় ১৭ মাস বয়সের এক শিশুর দেহে কভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে। ওই শিশুর মা একজন শিক্ষিকা তার দেহেও করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের ল্যাবে পাঠানো নমুনা থেকে বেনাপোল ও শার্শা উপজেলায় ছয় জনের আক্রান্তের রিপোর্ট পেয়েছি তার মধ্যে এই দুই জনও রয়েছে বলে জানান শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী। এ নিয়ে শার্শা উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৯ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে- শার্শার এক শিক্ষিকা (২৯) ও তার ১৭ মাস বয়সের শিশু, গাতিপাড়া গ্রামের একজন গৃহবধু (৪০), বেনাপোলের বড়আচড়া গ্রামের একজন তরুণ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী (৪২), বাহাদুরপুর গ্রামের একজন ব্যবসায়ী (৫৮) এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের একজন স্বাস্থ্য সহকারী (৩১)।
করোনা আক্রান্তরা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার আক্তার মারুফ জানান, বেনাপোল ও শার্শার অবস্থা অনেক খারাপের দিকে। এখন প্রতিটি মানুষের উচিৎ ঘরে থাকা।
এ জন্য তিনি শার্শার সচেতন জনগনকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচল করতে বলেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
তিনি প্রতিটি জনপ্রতিনিধি ও ইমামদের দায়িত্ব সহকারে করোনা মোকাবেলায় কাজ করার আহবান জানান।
এস এস