করোনাকালে টিউশন ফি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক, উভয়পক্ষকেই ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বলেছেন, কোনো জায়গায় টিউশন ফি'র কারণে যেন শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ না হয়ে যায়। এর ব্যত্যয় ঘটলে আমাদের জানালে সমাধান করে দেবো।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অনলাইনে জুম মিটিংয়ে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কঠোরতা নিয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। সবার জন্য একটি অংশ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেন আলোচকরা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উভয় পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কোনো জায়গায় টিউশন ফির কারণে যেনো শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ না হয়ে যায়। খুব ব্যত্যয় ঘটলে আমাদের জানালে সমাধান করবো।
দীপু মনি বলেন, করোনাকালে সবাই কিন্তু এক ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবার আয়ের ধরনও এক রকম নয়। সবার জন্য এক রকম করে দিলে প্রতিষ্ঠানগুলোর চলারমতো হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর চলার খরচ যেমন শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ইত্যাদি রয়েছে। সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা অপরিবর্তিত আছে।
‘কেস বাই কেস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে ভালোভাবে জানেন তাদের কোন অভিভাবক কী করেন বা কী চাকরি করেন। দু’একটি প্রতিষ্ঠান হয়তো অনড় অবস্থানে আছে। তবে অধিকাংশ স্কুল বিবেচনা করেছে।’
প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখার ব্যবস্থা এবং অভিভাবকদের বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়ে চলতে হবে বলেও জানান তিনি।
মতবিনিময়কালে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক।
এস এ /এডিবি