ন্যাভিগেশন মেনু

শিশু রিফাত হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন


ঢাকার লালবাগ থানা এলাকার ছয় বছরের শিশুশিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান রিফাত হত্যা মামলায় আরিফুর রহমান জুয়েলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপশি তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি ইকবাল মুন্সি ও হাবিবুর রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৭ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

গত পাঁচ বছর মামলাটি চলাকালে ৩৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এ মামলায় বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ মোল্লা জানান, ‘চাঞ্চল্যকর এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) রহস্যময় কারণে গায়েব করে দেওয়ায় মামলাটির রায় বিলম্বিত হয়।’

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৯ জুন রিফাত নিখোঁজ হন। রিফাতের বাবা তার সন্ধানে এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে হারানো ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেন। এরপর ওইদিন রাতেই লালবাগ থানায় একটি ডাইরি করেন রিফাতের বাবা রফিকুল ইসলাম। পরদিন তার বাবার ফোনে অজ্ঞাত পরিচয় একজন ফোন দিয়ে তার ছেলেকে ফিরে পেতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর বাদী বিষয়টি র‌্যাব ও লালবাগ থানা পুলিশকে জানান। র‌্যাব ও পুলিশের শিখানো কৌঁশলমতে বাদী অপহরণকারীদের সাথে আলোচনা করে আজিমপুর মেটার্নিটি হাসপাতালের ময়লা ফেলার জায়গায় ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন। আশেপাশে সাদা পোশাকে র‌্যাব-পুলিশ সদস্যরা ওৎপেতে থাকেন। এক পর্যায়ে অপহরণকারীর সদস্য আরিফুর রহমান ওইস্থান থেকে টাকা নিয়ে পালানোর সময় র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে ইকবাল মুন্সি ও হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ২০১৫ সালের ১১ জুন গুদারাঘাটের পাশে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে শিশু রিফাতের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর ৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।চার্জশিটে সাক্ষী করা হয় ৩৫ জনকে। আদালতে বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন ২০ জন।

এমআইআর/এডিবি