ন্যাভিগেশন মেনু

শীতে চুলের যত্নে করণীয়


শীতকালে ত্বক ও চুলের উপর ভারী প্রভাব ফেলে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা অনেক কমে যায়। ফলে ত্বকের জলীয় অংশের পরিমাণ হ্রাস পায়। ত্বক খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যায়। শীতকালে ত্বকের সাথে চুলও কিন্তু শুষ্ক হয়ে যায়। অধিকাংশ মেয়েদেরই শীতকালে চুল পড়ে যাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। অনেকে খুশকির সমস্যায় ভোগেন।

জেনে নিনশীতে চুলের যত্নে কিছু টিপস

ভিনেগার দিয়ে চুল ধোয়া: চুলে অনেক কিছুর ব্যবহার যেমন স্প্রে, জেল, সাময়িক রং চুলকে করে তোলে নিষ্প্রাণ। আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে চুল ধুলে এই চটচটে বা রাসায়নিক তরল পদার্থগুলো চলে যাবে অনেকাংশেই। এতে করে চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখা যাবে। ঢাকার বিভিন্ন সুপার শপেই পাওয়া যায় আপেল সিডার ভিনেগার।

তেলে চুল ভাজা: চুলের রুক্ষতা দূর করতে তেলের কোনো বিকল্প নেই। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেল দেওয়া চুলে গরম পানি দিয়ে ভেজানো তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট এভাবেই রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে অতিরিক্ত তেল ধুয়ে ফেলুন। চুলে তেল মালিশ করার সময় একটু গরম করে নিলে আরাম ও ফল-দুটোই ভালো আসবে।

প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার: শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার না করেও কিন্তু ঝলমলে চুল পাওয়া যাবে। এক চামচ বেকিং সোডা এক বাটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। এপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এরপর এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক বাটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এটা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল নরম করার জন্য কন্ডিশনার হিসেবে মধু মেশাতে পারেন। ৪-৫ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।

শীতের কথা বলতে প্রথমেই মনে হয় এক কাপ গরম কফিতে সকাল দেখা আর বাতাসে শুষ্ক চুল উড়া। শীতে যেখানে পানির কাছে যেতে ইচ্ছাই করে না, সেখানে শুষ্ক চুলের যত্ন নেওয়াটা খুব কষ্টের হয়ে দাঁড়ায়।শীতে যাতে চুল শুষ্ক বা রুক্ষ হয়ে না যায় তার জন্য দরকার চুলের বিশেষ যত্ন। চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়েশ্চার পৌঁছালে চুল ভাঙে কম।

কোঁকড়ানো চুল নিয়ন্ত্রণ: শীতের আরেকটি বিরক্তিকর ব্যাপার হল, চুল জড়ানো। শীতের কাপড়, হুডি, মাফলার এসবের সঙ্গে যেন চুলের খেলার শেষ নেই। আর ফলাফল চুলে গিট লেগে কুঁকড়ে থাকা।

এর জন্য ছড়ানো ধরনের চিরুনি ব্যবহার করা উচিত। অবশ্যই চুল ন্যারিশ করার জন্য প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুন। চুল বেশি কুঁকড়ে গেলে বা জড়িয়ে থাকলে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন পানি একেবারে হালকা গরম ব্যবহার করতে হবে।

১. বাতাসের আর্দ্রতা থেকে চুলকে রক্ষার জন্য মাথায় স্কার্ফ বা হ্যাট ব্যবহার করুন। এটি আপনার চুলকে বাইরের ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে থাকবে। সিল্কের স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চুল রক্ষা করার সাথে সাথে ফ্যাশনও করা হবে।

২. চুলে গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আমাদের মাথার ত্বক সাধারণত শুষ্ক থাকে, গরম পানি ব্যবহার ত্বক আরও বেশি শুষ্ক করে তোলে। গরম পানি ব্যবহার করার পরিবর্তে গরম এবং ঠান্ডা পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। এটি চুলের ত্বকের ময়োশ্চারাইজ ধরে রেখে চুল পরিষ্কার করে থাকে।

৩. শ্যাম্পু করার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই শীতকালে যতবার শ্যাম্পু করবেন ততবার কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। বিশেষ করে এই সময় ক্রিমি কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।

 কন্ডিশনার হিসেবে আপনি ডিমের কসুম ব্যবহার করতে পারেন। ১টি ডিমের কসুম, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ কাপ পানি মিশিয়ে নিন। এটি কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। ঘরোয়া কন্ডিশনার হিসেবে এটি বেশ কার্যকরী।

৪. শ্যাম্পু করার আগে তেল ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল, বাদাম তেল বা সরিষার তেল যেকোন তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে ম্যসাজ করে নিন। এটি মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। আপনি চাইলে যেকোন এসেনশিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার অয়েল, চা গাছের তেল বেশ উপকারী। নারকেল তেলের সাথে এই অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

৫. এই শীতে চুলের যত্নে নিয়মিত প্যাক ব্যবহার করুন। তা যেকোন কিছুর প্যাক হতে পারে। কলা, মধু, অ্যাডোকোডা, নিম পাতা এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মাথায় ভাল করে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রাখুন। কলা এবং মধু চুল ময়োশ্চারাইজ করে থাকে।

অ্যাডোকোডাতে আছে ভিটামিন এ যা চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গোঁজাতে সাহায্য করে। নিম পাতা ত্বকের সকল প্রকার জীবাণু দূর করে চুলাকানি রোধ করে থাকে।শীতে কাবু হয়ে শ্যাম্পু করা বন্ধ করা যাবে না। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত। এই সময় চুলে বেশি ময়লা হয়ে থাকে, তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা উচিত।

ওআ/এস এস