ন্যাভিগেশন মেনু

শীতে খুশকি ও চুল পড়া থেকে মুক্তির উপায়


শীতকালে ত্বক ও চুলের উপর ভারী প্রভাব ফেলে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা অনেক কমে যায়। ফলে ত্বকের জলীয় অংশের পরিমাণ হ্রাস পায়। ত্বক খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যায়। শীতকালে ত্বকের সাথে চুলও কিন্তু শুষ্ক হয়ে যায়। অধিকাংশ মেয়েদেরই শীতকালে চুল পড়ে যাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। অনেকে খুশকির সমস্যায় ভোগেন।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক শীতে চুল পড়া কমানোর কিছু উপায়-

➤ চুল পড়া বন্ধ বা চুলের যত্ন নিতে অবশ্যই তেল দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো নারকেল তেল। নারিকেল তেল চুলকে মসৃণ ও স্বাস্থ্যবান করে। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। যা যেকোনো ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে চুলকে রক্ষা করে।

➤ শ্যাম্পুতে বিটরুট নির্যাস, তেঁতুলের বীজ আছে কি না, লক্ষ্য রাখুন। এই উপাদানগুলো চুলের কোনো ক্ষতি না করে কার্যকরভাবে মাথার তালু পরিষ্কার করে। সরাসরি শুকনো চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। তেল দিয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

➤ পেঁয়াজের রস এবং মেথি বাটা চুলে ব্যবহার করলেও ভালো ফল মিলতে পারে। পেঁয়াজ ও মেথির মধ্যে থাকা উপাদান চুলকে ভিতরে থেকে মজবুত করে। পেঁয়াজ ভালো করে বেটে এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার পেঁয়াজের রস মেশানো পানি মাথায় লাগিয়ে ভালো করে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

➤ অবশ্যই চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে। বিটরুট নির্যাস, অ্যাকুয়া, প্রো ভিটামিন বি-৫ সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।

➤ প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। ভিটামিন ই যুক্ত খাবার, সামুদ্রিক মাছ ডিম, দুধ চুলের জন্য খুবই উপকারী।

➤ গরম পানি মাথার তালুর গুরুতর ক্ষতি করে, এতে চুল পড়ে ও চুল দুর্বল হয়ে যায়। তাই চুলে কখনো গরম পানি ব্যবহার করবেন না। 

➤ অ্যালোভেরা, আমলকি, শিকাকাই, নিমের গুঁড়া একই পরিমাণে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে দিতে হবে। সপ্তাহে একবার এটির ব্যবহার চুল পড়া কমাবে। 

ওআ/