ন্যাভিগেশন মেনু

শীতে থাকুন সুস্থ


পৌষের শুরুতে জেঁকে বসেছে শীত। ঠাণ্ডা আবহাওয়া ঘিরে ধরেছে পুরো দেশকে। হিমশীতল বাতাস বইছে দেশের সবখানে।

শীতের এমন আবহাওয়ায় সর্দিকাশি, জ্বর ইত্যাদিতে আক্রান্ত হচ্ছে যেকোনো বয়সের মানুষ। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। স্বাস্থের  প্রতি হতে হবে বেশি যত্নশীল।

এ সময় বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকে। তাই সবসময় নিজের শরীর ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই গোসল এড়িয়ে চলেন যা একদম ঠিক নয়। গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জেনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই শীতে গোসল এড়িয়ে না যেয়ে, হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা উচিত।

এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন, গৃহের ব্যবহূত আসবাবপত্র, বিছানা, জামাকাপড় ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে বিভিন্ন ইনডোর অ্যালার্জেন থেকে সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

শীতে বিভিন্ন ধরনের রঙিন ও সবুজ শাকসবজি-ফলমূল  খাওয়া উচিত। এ গুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে ।

ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতে ঘরের বাইরে বেরুতে মাস্ক ব্যবহার করা উত্তম। শীতে সর্দিজ্বর কিংবা ঠান্ডা লাগার প্রধান কারণ ভাইরাস সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জেন। সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই সেরে যায় এ সর্দিকাশি। তবে সাত দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

তবে শিশুদের ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি সর্দিকাশি থাকলেই দ্রুত পরামর্শ গ্রহণ করতে বলেন চিকিত্সকগণ।

সিবি / এস এস