এখন আমের মৌসুম। আম শুধু সুস্বাদু নয়, পুষ্টিকর ফলও । এটি একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে খাওয়া যায়। আমাদের দেশের প্রায় সবাই আম খেয়ে তৃপ্ত। কারণ এ দেশের উৎপন্ন হওয়া আমগুলো মিষ্টি ও পুষ্টিতে ভরপুর হয়ে থাকে।
আঁটি ছোট ও পাতলা, খোসা খুব পাতলা এবং রসালো হয়ে থাকে আমগুলো। মজার আম ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর। এ জন্যই আমকে বলা হয় ফলের রাজা।
উন্নতজাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ, হাঁড়িভাঙা, হিমসাগর, ল্যাংড়া আম্রপালি ও ফজলি। আর সবার শেষে পাওয়া যায় আশ্বিনা ও বারি-৪ জাতের আম।
এসব আম আমরা বাজার থেকে কিনে খাই। কিন্তু বাজার থেকে কেনা আম কেমিক্যাল মুক্ত কিনা বুঝবেন কীভাবে? আমের হাজারো গুণ কোনো কাজেই আসে না, যদি আমে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো থাকে। কেমিক্যাল যুক্ত আম খেলে শরীরের বড় ক্ষতি বয়ে আনে।
আমে মেশানো কেমিক্যাল মানুষের শরীরে গেলে ত্বকের ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার, লিভার ও কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে।
পাকা আম দেখে কেনা ও চেনা যাবে:
বেশি চকচকে দেখায় এমন আম কখনই কেনা যাবে না
গাছপাকা আমের গায়ে মিষ্টি গন্ধ থাকবেনাকের কাছে আম নিয়ে গন্ধ পরখ করে নিতে হবে। জানতে হবে কোন আম কখন পরিপক্ব হয়।
বাজার থেকে আম এনে খাওয়ার আগে অন্তত ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন। এবার খোসা ছাড়িয়ে উপভোগ করুন মজার ও পুষ্টিকর প্রিয় ফল।
রাসায়নিকভাবে পাকানো আম চেনা যাবে—
ফলের চেহারা হবে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়। কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমের সব দিকটাই সমানভাবে পাকবে; কিন্তু গাছ পাকা ফলের সব দিক কখনই সমানভাবে পাকে না।
রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফলে স্বাভাবিক পাকা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ থাকে না। প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের চামড়ার ওপর এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঢ় নীল অথবা কালো বর্ণের হয়ে যাবে। কিন্তু কেমিক্যাল দ্বারা পাকানো ফলে আয়োডিনের রঙ অপরিবর্তিত থাকে।
খাওয়ার আগে পানিতে দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। তার পর ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে খাবেন।আস্ত ফল সরাসরি খাবেন না।
এস এস