ন্যাভিগেশন মেনু

আজ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীরবিক্রম মহিবুল্লাহ’র শাহাদাত বার্ষিকী


খুলনা শহরের রূপসা নদীর পূর্ব পাশে ঘুমিয়ে আছেন জাতির অন্যতম সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ মো. রুহুল আমিন। ১০ ডিসেম্বর তাঁর শাহাদাত বার্ষিকী। ১৯৭১ সালে খুলনার রূপসা নদীতে একটি যুদ্ধজাহাজে থাকাকালে শত্রুপক্ষের বিমান হামলায় শহীদ হন রুহুল আমিন।

প্রতি বছর এই দিনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এই সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তাছাড়া সশস্ত্র বাহিনী দিবসেও শ্রদ্ধা নিবেদন ও গার্ড অব অনার দেয়া হয়। রূপসা উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় প্রেসক্লাব দিনটিকে স্মরণ করতে আয়োজন করে নানা কর্মসূচি।

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের জন্ম ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার বাঘপাচড়া গ্রামে (বর্তমান শহীদ রুহুল আমিন নগর)। তার বাবা আজহার পাটোয়ারী ও মাতা জুলেখা খাতুন।

আরেক বীর যোদ্ধা বীরবিক্রম মহিবুল্লাহও একই দিনে শহীদ হন। স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় অরক্ষিত থাকা মহান দুই ব্যক্তির কবরস্থানকে কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে জায়গাটির সুরক্ষা দিতে পশ্চিমে নদীর পারে বাঁধ দেওয়া হয়েছে।

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা হওয়ায় তার পাশাপাশি শহীদ মহিবুল্লাহ বীর বিক্রমের কবর সংরক্ষণের দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। তাদের উদ্যোগের ফলে এখন প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মাজার দুটি দেখার জন্য মানুষ আসেন।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানীদের হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে রূপসার খুলনা শিপইয়ার্ডের সামনে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেন মহিবুল্লাহ। এরপর রূপসা নদীর পূর্বপাশে বাগমারা গ্রামে নদীর পাশে তাকেও দাফন করা হয়।

এস এস