ন্যাভিগেশন মেনু

শেরপুরের সেই ভিক্ষুককে ঘর তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী


নিজের বাড়ি মেরামতের জন্য দুই বছরে ভিক্ষা করে জমিয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা। কিন্তু সেই টাকা বাড়ি মেরামতের কাজে না লাগিয়ে বরং প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ঘরবন্দী হওয়া কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তায় দান করেছেন ভিক্ষুক নজিমুদ্দিন (৮০)। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে প্রচারিত সংবাদটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। এরপরই ওই ভিক্ষুককে ঘর তুলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদকে ফোন দেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব। সেই নির্দেশ অনুযায়ি, রাতেই ভিক্ষুক নজিমুদ্দিনের বাড়ি যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

তিনি জানান, জীর্ণ ভাঙ্গা ঘর তার। এখনও কুপি বাতি দিয়ে চলে। রাতের মধ্যেই ঘর তৈরির বিষয়ে সম্ভাব্য সব তথ্য তৈরি করে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। একই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও দেবে সরকার।

উল্লেখ্য, করোনা দুর্যোগের মধ্যে হতদরিদ্রদের সহায়তার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে তালিকা করছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা। ভিক্ষুক নজিম উদ্দীনের বাড়িতে স্বেচ্ছাসেবকরা গেলে তিনি জানতে চান কেনো এই তালিকা? জানতে পারেন, সরকারের খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দেয়ার জন্য এ তালিকায় তার নাম দেওয়া হবে। নজিম বলে ওঠেন, আগে মানুষের জীবন বাঁচুক। এই বলে তিনি ঘর তোলার জন্য জমানো দশ হাজার টাকার পুরোটাই তুলে দেন বিপদগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে। বিষয়টি হতবাক করে তোলে ইউএনও, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ উপস্থিত সবাইকে। পরে এনিয়ে যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়া সংবাদ প্রচার করে।

ওআ/ এডিবি