স্রেফ শ্বশুড়বাড়ির ইফতারি পছন্দ না হওয়ায় এক পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এ কাণ্ড সিলেট জেলার ওসমানীনগরে।
ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে পাঠানো ইফতারিতে স্বামীর জন্য আলাদা সাজানো থালা না থাকার জের ধরে হত্যা করে।
এছাড়া ছিল পারিবারিক বিরোধ ও ঈদুল ফিতরে নতুন কাপড় না দেয়ায় স্বামী ও শাশুড়ীর নির্যাতনে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মারা যায়।
এ কাণ্ডে গৃহবধূর স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ী মিনারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। মারা যাওয়া শরিফা বেগম (২০) নবীগঞ্জ উপজেলার পুটিয়া গ্রামের শাকিম উল্যার ছোট মেয়ে।
তবে থানায় আটক স্বামী ও শাশুড়ির দাবি- পরিবারের সবার অজান্তে শরিফা আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে শরিফার স্বামীর বাড়ির নিজ ঘরের বিছানা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
প্রায় ৯ মাস আগে উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মৃত ইছন আলীর ছেলে আরশ আলীর সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় নবীগঞ্জ উপজেলার পুটিয়া গ্রামের শাকিম উল্যার ছোট মেয়ে শরিফার।
বিয়ের কিছু দিন পর যৌতুকসহ নানা অযুহাতে স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ী মিনারা বেগম নির্যাতন শুরু করেন গৃহবধূ শরিফার ওপর। নিজে অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাদের নির্যাতন সহ্য করে গর্ভের সন্তানের আলোর মুখ দেখাতে তাদের সকল নির্যাতন সহ্য করেই স্বামীর বাড়িতে পড়ে থাকেন শরিফা।
এস এস