ন্যাভিগেশন মেনু

শ্বেতী হতে পারে যে কারোর শরীরে, যা মানতে হবে


শ্বেতী রোগটির সঙ্গে কমবেশি সকলেই পরিচিত। কিন্তু কখন কার জীবনে এই রোগ হানা দেবে তা আগে থেকে বলা যায় না। ত্বকে হঠাৎ করে সাদা ছোপ ছোপ দেখা গেলেই আঁতকে ওঠেন অনেকে। এই ছোপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। শ্বেতী সেভাবে শারীরিক ক্ষতি না করলেও শ্বেতী মানসিক ভাবে মানুষকে অবসাদে নিয়ে যায়।

ত্বকের স্বাভাবিক রংয়ের ভারসাম্য রক্ষা করে মেলানিন। মেলানোসাইট কোষে এটি থাকে। এই মেলানিনের ভারসাম্য ব্যাহত হলেই ত্বকে শ্বেতী দেখা যায়। শ্বেতী নিয়ে তাই মাথাব্যথাও কম নেই চিকিৎসক মহলে। দুনিয়া জুড়েই এই অসুখ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণাও চলে। তবে ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে,এমন কিছু উপায় আছে যা অবলম্বন করলে রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

সাবধানতা অবলম্বন করুন ডিও, পারফিউম-স্প্রে, ফরসা হওয়ার বিভিন্ন ক্রিম, ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো সানস্ক্রিন, অ্যাডহেসিভ রয়েছে এমন কোনও আঠালো দ্রব্য, ডিটারজেন্ট, কড়া অ্যান্টিসেপটিক থেকেও।

এইগুলি ব্যবহার করলেই যে শ্বেতী হবে এমনটা নয়, তবে যাদের ত্বক এই সব রাসায়নিকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না, বিপদ ঘনাবে তাদেরই।

শ্বেতী শুরু হয় কনুই, বুক ও মুখ থেকে। ধীরে ধীরে এগুলি ছড়িয়ে পড়তে থাকে সারা মুখে বা হাত-পায়। কিন্তু অনেক সময়ে সারা শরীরে এমন ভাবে শ্বেতী হয় মনে হয় যেন আসল গায়ের রং এটাই। আবার অনেক সময়ে শ্বেতী এক জায়গাতেই আটকে থাকে। সাধারণত ১০-১২ বছর পূর্ণ হওয়ার পরেই শ্বেতী হয়।

শ্বেতী নিয়ে কিছু মিথ বা ভ্রান্ত ধারণা দূর করাও আবশ্যক ঠিক সময়ে শ্বেতীর চিকিৎসা শুরু করলে তা অবশ্যই কমে। সেরেও ওঠে বেশির ভাগটাই। আর এই অসুখ মোটেও ছোঁয়াচে নয়। কোনও রকম যৌন সংসর্গের জেরে তা ছড়ায় না। বাবা-মায়ের থাকলেই সন্তানের এমন অসুখ হবে, এই ধারণা একেবারেই ভুল, কারণ এ অসুখ বংশগত নয়।

সতর্কতা: কোনও রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে শরীরে কোনও সাদা দাগ হচ্ছে কি না সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তেনমনটা দেখা দিলেই বন্ধ করতে হবে ক্ষতিকর রাসায়নিক দেওয়া জিনিসের ব্যবহার। ডিটারজেন্ট ব্যবহারের সময় গ্লাভস ব্যবহার করুন। সাবান, তেল, শ্যাম্পুর বেলায় বিজ্ঞাপনী চমকে প্রভাবিত হবেন না।

সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় ইউভি এ ও ইউভি বি দুটোই ব্লক করছে কি না দেখুন। কেবল এসপিএফ-ই নয়, নজর রাখতে হবে পিএফ ফ্যাক্টরেও। এ ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের অনুমোদন দেওয়া সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। কোনও রকম ফরসা হওয়ার ক্রিম, হেয়ার ডাই একেবারেই ব্যবহার চলবে না।

শ্বেতী ধরা পড়লে ছেড়ে দিন প্লাস্টিক বা রবারের জুতো পরা। সার্বিক ভাবেই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে ফেলতে পারলে ভাল হয়। সাবধানতার সঙ্গে কিছু ওষুধও প্রয়োজন হয়। তাই চিকিৎসায় অবহেলা নয়। স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমায়। দরকারে চাপমুক্ত রাখে এমন কোনও শখ বা নেশার দ্বারস্থ হতে পারেন।

এস এস