ন্যাভিগেশন মেনু

যুবলীগের অভিনন্দন বার্তা

স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান, ধন্যবাদ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা


দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। পদ্মাসেুতুর শেষ স্প্যান বসানোর মধ্যদিয়ে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান (৪১নং স্প্যান) বসানোর মধ্য দিয়ে ৬.১৫ কি.মি. স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ বাস্তবে রূপ নিলো। দৃশ্যমান হলো বাঙালির বহুল আরাধ্য, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দেশী ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা-পূর্বক স্বপ্নের পদ্মাসেতু।

স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল যুবলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নসারথী, বঙ্গবন্ধুকন্যা, মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

অভিনন্দন বার্তায় যুবলীগের পক্ষথেকে বলা হয়েছে, বিশ্ব দরবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন একটি অনুকরণীয় নাম। বৈশ্বিক করোনা মহামারির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও আক্রান্ত। তবু রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা থেমে থাকেন নি। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দূর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবিলা করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতুর কাজ এগিয়ে চলেছে স্বাভাবিক নিয়মে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর পদ্মায় সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাপানি অর্থ সহায়ক সংস্থা (জাইকা) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করে। ওই সময়েই ২০০১ সালের ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। যার মধ্য দিয়ে সেতু নির্মাণের বীজ বপন করা হয়।

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, সকল দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ও দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর যে স্বপ্নের বীজ বপন হয়েছিল, পদ্মার পাড়ে সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিলো। আর মাত্র কয়েকটা মাস অপেক্ষা। স্থাপন হবে উন্নয়নের মাইলফলক। তার পরই স্বপ্ন উড়বে পদ্মার এপার-ওপার। উল্লাস আর উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবে গোটা জাতি।

দূরত্ব কমে যাবে দেশের এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের। অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে দ্রুত বেগে। অর্থনীতির ভীত শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে দেশের দুই ভাগকে এক করা পদ্মা সেতু। বাড়বে জীবনযাত্রার মান। পদ্মাসেতু নতুন বার্তা পৌঁছে দেবে দেশ এবং দেশের বাইরে।

সেতুটি চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এতে মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ১ থেকে দেড় শতাংশ বাড়বে। দারিদ্র্যের হার কমবে দশমিক ৮৪ শতাংশ। নতুন করে গড়ে উঠবে ভারি শিল্প কারখানা।

পদ্মা সেতু শুধু রড, সিমেন্ট ও পাথরের সেতু নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ১৮ কোটি মানুষের আবেগ। চ্যালেঞ্জকে জয় করার অদম্য স্পৃহা এবং আগামীতে দেশের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনার হাতছানি।

এমআইআর/ওআ