ন্যাভিগেশন মেনু

শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুত হচ্ছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উৎফুল্ল


আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার খবরে দারুণ খুশি দেশের  শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সাত দিন পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে। একটানা ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকা ময়লা-আবর্জনায় ছেয়ে গেছে। 

এ জন্য  বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে মেঝে পরিষ্কারের চিত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার খবরে উৎফুল্ল শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস, পাঠ্যবই এবং স্কুল ব্যাগ প্রস্তুত শুরু করেছে। নতুন শ্রেণিতে উন্নীত হলেও এখন পর্যন্ত একটি ক্লাসও পায়নি। ১২ সেপ্টেম্বর হবে তাদের প্রথম ক্লাস।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা জানান । একই সঙ্গে এসএসসি, এইচএসসি ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন চলবে বলেও জানান মন্ত্রী। 

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ে নতুন ক্লাসে উঠেছে। কিন্তু বছরের আট মাস পার হলেও শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেনি। এ জন্য সে বারবার স্কুল কবে খুলবে প্রশ্ন করে আসছিল। সবসময় খবরের দিকে চোখ রাখতো, কবে স্কুল খোলার ঘোষণা আসবে। 

 ‘স্কুল খোলার ঘোষণার পরই মোবাইলে আমাকে প্রথমে খবর জানায় মেয়ে, সে যে কতটা উৎফুল্ল বলে বোঝানো যাবে না। এখন সে পাঠ্যবই থেকে শুরু করে খাতা, কলম, স্কুল ড্রেস এবং স্কুল ব্যাগ সব প্রস্তুত করে রেখেছে ১২ সেপ্টেম্বরের জন্য। আমিও চাচ্ছি, কোনোভাবেই যেন এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হয়। 

আরেক অভিভাবক বলেন, ‘স্কুল খোলার ঘোষণায় আমার মেয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আমাকে স্কুল ব্যাগ থেকে শুরু করে খাতা, কলমসহ বিভিন্ন জিনিস কেনার তালিকা হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় খুবই আনন্দিত মেয়ে। 

একই সঙ্গে আমার ছেলেও দারুণ খুশি। প্রধান শিক্ষক মো. ফকরুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। অভিভাবকরাও চাচ্ছেন সন্তানকে ক্লাসে পাঠাতে। সরকারের এ ঘোষণায় শিক্ষকরাও খুশি।তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে খেলার মাঠে ময়লা-আবর্জনা জমেছে। 

তবে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। তৃতীয়-দশম শ্রেণি পর্যন্ত আটটি ক্লাসের ১৬টির অধিক কক্ষ রয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু কক্ষ আছে। এ কাজ একদিনে সম্ভব হবে না। তবে দুই দিনের সব শ্রেণিকক্ষ ক্লাসের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। তবে সপ্তাহে ক’দিন ক্লাস নেওয়া হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে এখনও নির্দেশনা আসেনি। 

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ক্লাস পরিচালনা করবো।’বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জাফর বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। 

আমরাও প্রস্তুত ছিলাম, যেকোনো সময় স্কুল খোলার ঘোষণা আসতে পারে। এতে কোনোভাবে যাতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে না হয়। সে জন্য আগেভাগেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ শুরু হয়। জেলার বেশিরভাগ স্কুলের শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করা হচ্ছে। কিছু স্কুল বাকি থাকলেও দুএকদিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

এস এস