ন্যাভিগেশন মেনু

সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের আজ জন্মদিন


বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের ৬৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৫৫ সালের (৪ নভেম্বর) রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু আজ তিনি নেই। গত ৬ জুলাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি।

মৃত্যুর পর আজ আবারও ফিরে এলেন তিনি সবার মাঝে বেদনা-বিষাদ মাখা জন্মদিনে। মৃত্যুর পর এন্ড্রু কি‌শো‌রের এটাই প্রথম জন্মদিন

বাংলা গানের কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামেও পরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে তাকে বলা যেতে পারে এক মহাসমুদ্র। যেখানে তিনি সাঁতার কেটেছেন কয়েক দশক ধরে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধকসহ প্রায় সব ধারার গানে রাজশাহী বেতারে তালিকাভূক্ত হন। তার চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে।

তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের ‘ধুম ধারাক্কা’। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতীজ্ঞা চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে এবং গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

শত শত গান এখনো মানুষের মুখে মুখে। এরমধ্যে ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’ বা ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন’—সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান আজও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, আমার বুকের মধ্যে খানে, পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি, সবাইতো ভালোবাসা চায়, বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন, ভালো আছি ভালো থেকো, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, চোখ যে মনের কথা বলে’ ইত্যাদি।

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রাখা কিংবদন্তি এই শিল্পী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ২০২০ সালের ৬ই জুলাই।

পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও  তাঁর রেখে যাওয়া গানের মধ্যমে আরো বহুযুগ বেঁচে থাকবেন ভক্ত অনুরাগীদের মনে।  

এস এ/ওআ