ন্যাভিগেশন মেনু

সংহতি, সহযোগিতা মহামারিকে পরাস্ত করার শক্তিশালী অস্ত্র


করোনা মহামারি গত তিন বছর ধরে চলছে। এটি গত এক শতাব্দীতে মানব জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুতর একটি বৈশ্বিক গণস্বাস্থ্য জরুরি ঘটনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী, গেল তিন বছরে বিশ্বে মোট ৬৬ কোটি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং করোনার কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মৃতের সংখ্যা কয়েক কোটির বেশি। 

সিএমজি’র এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মহামারি মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা বুঝেছি যে সংহতি এবং সহযোগিতা মহামারিকে পরাস্ত করার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে চীন নিঃস্বার্থভাবে বিশ্বের সঙ্গে মহামারি মোকাবিলার  অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে। বিশ্বের ১২০টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ২২০ কোটির বেশি ডোজ টিকা প্রদান করেছে। আর ১৫৩টি দেশ ও ১৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বিপুল পরিমানে মহামারি প্রতিরোধ সামগ্রী সরবরাহ করেছে। তাছাড়া, ৩৪টি দেশে চীনা চিকিত্সক দল পাঠানো হয়েছে। বিশ্বে সর্বপ্রথম টিকাকে গণপণ্য হিসেবে বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং টিকার মেধাসত্ব বাতিলকে সমর্থন করেছে চীন। উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে টিকা উত্পাদনে সহযোগিতাও করেছে চীন ।

মহামারি দেখা দেয়ার পর থেকে চীন সময়মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে তথ্য প্রেরণ করেছে। প্রথমে ভাইরাসের জিন ক্রম প্রকাশ করেছে। ভাইরাসের উত্স ও আক্রমনের পদ্ধতি নিয়ে বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাজকে সমর্থন করেছে। মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে বৈজ্ঞানিক মনোভাব প্রয়োজন। মহামারিকে রাজনীতির হাতিয়ার বানানো এবং অন্যকে কলঙ্কিত করার মতো  রাজনৈতিক কারসাজি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক মহামারি প্রতিরোধ সহযোগিতাকে ব্যাহত এবং বিশ্বজুড়ে মানুষকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

মহামারি বিশ্ব স্বাস্থ্য নিরাপত্তা প্রশাসন ব্যবস্থা এবং বহুপক্ষবাদের জন্য একটি পরীক্ষা। বৈশ্বিক গণস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার মুখে আমাদের একটি বিস্তৃত দৃষ্টি এবং মন থাকতে হবে। বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ থেকে মানব জাতির অভিন্ন লক্ষ্যের স্বাস্থ্য কমিউনিঠি গঠন করতে হবে। - সূত্র: সিএমজি