মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন প্রতিটি মানুষই স্বেচ্ছাসেবক। সকলের মেধা শ্রম নিয়োজিত হোক শতভাগ মানব কল্যাণে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে এমন মন্তব্য করেছেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তজার্তিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষ্যে ইন্ডিপেনন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি মিলনায়তন, বসুন্ধরা, ঢাকায় জাতিসংঘ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (ইউএনভি) কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এ'সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহবানে দল মত নির্বিশেষে যার যা কিছু আছে তা নিয়েই আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধে যাপিয়ে পড়েছিলাম সেটাই ছিল মূলত স্বেচ্ছাসেবক কাজ।
তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা উন্নয়ন খাতে কাজ করতে গিয়ে তাদের নিজেদের নানান দক্ষতা এবং নেতৃত্বমূলক গুণাবলি অনুশীলন করার সুযোগ পান যা তাদের করে তোলে আরও দায়িত্ববান।
প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, আমি মনে করি, শৈশব থেকেই শিক্ষা-পাঠ্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবার ধারণা অন্তর্ভূক্ত করা দরকার যাতে শিশুরা বিদ্যালয় থেকেই স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং আমি নিশ্চিত, এটি তাদের মানসিক বিকাশকে ইতিবাচকভাবে উন্নতি করার ক্ষেত্রে দারুণ প্রভাব ফেলবে।
এটি আমাদের সমাজে সহনশীলতা, ভালবাসা এবং একে অপরকে সহায়তা করার মানসিকতা তৈরি করবে।
প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, স্বেচ্ছাসেবা জীবনের সৌন্দর্য। আমি নিশ্চিত, আমরা সবাই যদি মন থেকে স্বেচ্ছাসেবায় এগিয়ে আসি তবে বাংলাদেশ আরও অনেক উন্নত হবে।বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম জোরদার করার ব্যাপারে আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ একটি দূর্যোগপ্রবন দেশ। দেশের সকল প্রকারের দূর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আমরা সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করব যাতে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবীদের সংগঠন আরও জোরদার হয়।
আমার মতে জাতীয় পর্যায়ে তরুণদের জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্তির ব্যাপারে আরও উৎসাহিত করা প্রয়োজন। আমি আমার মন্ত্রণালয়কে বলব যাতে তারা জাতীয় জাতিসংঘ স্বেচ্ছাসেবকদের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রকল্পে অন্তর্ভূক্তির ব্যাপারে সচেষ্ট হয়।
তরুণ ও যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তোমরা তরুণরা দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী এবং পরিবর্তনের কান্ডারি। সত্যিই তোমাদের কাছে আমাদের অনেক আশা।
আমি বিশ্বাস করি, তোমরা ইতিবাচক স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের জীবন ও দেশের পরিবর্তন আনতে পারবে।
সরকারের জন্য অপেক্ষা না করে বরং নিজেরাই নিজেদের এবং নিজ নিজ সম্প্রদায়ের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সমাধান করার চেষ্টা করবে।
এতে করে তোমরা সকল বিষয়ের ইতবাচক দিকগুলো দেখতে পাবে। সকলের সহযোগিতায় আমরা একটি উন্নত দেশ অবশ্যই বিনির্মাণ করতে পারি।
সুতরাং একটি উন্নত ও অন্তর্ভূক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়তে নিজের জন্য এবং দেশের জন্য স্বেচ্ছাসেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য আমি তোমাদেরকে উদাত্ত আহবান জানাই।
অনুষ্ঠানে ইন্ডিপেনন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ড. ফাহমিদা খাতুন, নির্বাহী পরিচালক সিপিডি, সুদীপ্ত মুখার্জী, আবাসিক প্রতিনিধি ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং আখতার উদ্দিন কান্ট্রি কর্ডিনেটর ইউএনবি বাংলাদেশ।
ওয়াই এ / এস এস