ন্যাভিগেশন মেনু

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোদির শপথ, উপস্থিত রাষ্ট্রপতি হামিদ


বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ‘শক্তিমান’ নরেন্দ্র মোদি টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। এবার লোকসভা নির্বাচনে তাক লাগানো ফলাফল করেছে তাঁর দল বিজেপি৷

অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে৷ জাপান সফরে থাকায় শেখ হাসিনা যেতে না পারলেও, শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন  রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ৷ বুধবার দিল্লি গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে৷ তিনদিনের সফর শেষে আগামী ৩১ মে বিকালে বিশেষ বিমানে বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে তাঁর৷

তিন দেশ সফর শেষে ৮ জুন বাংলাদেশে ফেরার পথে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে হাসিনার৷ এছাড়াও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গোপসাগরের খাঁড়ির সঙ্গে যুক্ত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর বাইরে আরও কিছু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তবে থাকছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ পাঁচ বছর আগে ২০১৪ সালের ২৬ মে মোদির প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির ছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

এদিকে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার আগেই তাঁর সঙ্গে সরাসরি রাজনৈতিক সংঘাতে নেমে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে কারণেই বুধবার দুপুরে শেষ মুহূর্তে বাতিল করলেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়া।

  নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণে দেশ-বিদেশের মিলিয়ে প্রায় ৮০০০ অতিথি উপস্থিত থাকবেন এই  অনুষ্ঠানে। রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাসে এটাই হবে সবথেকে বড় অনুষ্ঠান।

অতিথিদের পরিবেশন করা হবে ‘হাই-টি’ আর নৈশভোজের আতিথ্য করবেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিমস্টেকের দেশগুলির প্রতিনধিদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে এই অনুষ্ঠানে।

বিমস্টেক  দেশগুলিরে নেতাদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ উইন ময়িন্ত, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।

থাইল্যান্ড থেকে থাকবেন বিশেষ প্রতিনিধি গ্রিসাদা বোনার্ক। বিমস্টেক দেশগধলি ছাড়া থাকছে মরিশাস ও কিরগিজস্তান। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ কুমার জগনথ ও কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সূরনুবে জিনবেকভ থাকবেন। এদের মধ্যে আনেকের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করবেন মোদী।

ভারতের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ সিং ভাগেল, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

দরবার হলের সামনে ফোর্টকোর্টে শপথ নেবেন মোদি। এই নিয়ে চতুর্থবার এই স্থানে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে চলেছে। ১৯৯০ সালে চন্দ্র শেখর, ১৯৯৮ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী তার প্রথম দফায় এই স্থানে শপথ নিয়ে ছিলেন। আর এবার ফের একই স্থানে শপথ নেবেন মোদি।

 শপথগ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি ভবনে যে হাই টি আয়োজন করা হয়েছে, তাতে থাকছে বাংলার রাজভোগ। হাই টি-র মেনুতে থাকছে ভারতীয় ও বিদেশি খাবারের সংমিশ্রণ। যেমন থাকছে সমোসা, তেমনই থাকছে স্যান্ডউইচ, কমলালেবুর দই লেমন টার্টও।

তার পাশেই থাকবে কেশরী রাজভোগ। ব্যাঙ্কোয়েটে আমিষ, নিরামিষ দু রকমেরই পদ থাকবে। থাকছে রাষ্ট্রপতি ভবনের স্পেশালিটি ডাল রাইসিনা। এই ডাল রাঁধতে সময় লাগে ৪৮ ঘণ্টা।