ন্যাভিগেশন মেনু

সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন মেডিটেশন


সুস্থ বা ভালো থাকতে হলে শরীর ও মন দু’টিই ভালো থাকা জরুরী। শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি শুধু শারীরিক সুস্থতা পাবেন। আর মেডিটেশন সবসময়ই শরীর ও মনের জন্য সমানভাবে উপকারী। এর মাধ্যমে আপনার শরীর ও মন দুই ভালো থাকবে।

আমরা কম বেশি সকলেই জানি পৃথিবীর সব বড় বড় বিপ্লবের সূচনা হয়েছে মৌনতার মাঝে মনের ধ্যানাবস্থায়। দুনিয়ায় মানুষের তৈরি দৃশ্যমান সবকিছুই প্রথম বাস্তবতা লাভ করেছে মনে।

আমাদের জীবন দিন দিন যান্ত্রিক হযে উঠেছে। ব্যাস্ততার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের হৃদয়ের কমলতা।

মেডিটেশন আমাদের ক্লান্তি, অবসাদের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। মেডিটেশন করতে চাইলে প্রথমে মন ঠিক করতে হবে। এটা খুবই সহজ ও সাধারণ একটি বিষয় এর জন্য বাড়তি কোনো আড়ম্বরের প্রয়োজন নেই।

অনেক সময় আমাদের মন অস্থির থাকে। চিন্তা না করে সিদ্ধান্ত নিলে অনেক সময় তা ভুল হয়। জীবনে যে কোনো বিষয়ে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন দূরদর্শিতা ও ধৈর্য। আর এটা আমরা পেতে পারি ধ্যান বা মেডিটেশনের মাধ্যমে।

কিভাবে মেডিটেশন করতে হবে- 

প্রথমেই মেডিটেশনের জন্য একটা নির্জন খোলা জায়গা বেঁছে নিনি।

বাগান, বারান্দা খোলা ছাদ বা বড় জানালা দেওয়া বড় ঘরেও মেডিটেশন করতে পারেন।

নির্দিষ্ট স্থানে একটা মাদুর পাতুন বা বিছানা করে নিন।

ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরুন।

মেডিটেশনের সময় যাবতীয় কাজ এবং ব্যস্ততাকে দূরে রাখুন।

মোবাইল ফোন বন্ধ করুন, কারণ মেডিটেশনের সময় ফোন এলে মনোযোগ নষ্ট হবে।

অবশ্যই মেরুদণ্ড সোজা রাখুন,পদ্মাসনে বসুন অথবা যেভাবে বসতে আরামবোধ করেন, সেভাবেই বসতে পারেন।

ধীরে ধীরে ও গভীর নিঃশ্বাসের মাধ্যমে যাবতীয় জাগতিক চিন্তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন।

মনোসংযোগ করে চিন্তাকে একটি স্থির অবস্থায় নিয়ে আসতে চেষ্টা করুন।

নিয়মিত মেডিটেশনে আমাদের আত্মবিশ্বাস কর্মদক্ষতা মনোযোগ বাড়ে।

প্রথম দিন থেকেই আপনার মন পুরোপুরি ধ্যানে মগ্ন নাও হতে পারে, ধৈর্য হারাবেন না।

এ ভাবে নিয়মিত কয়েকদিন চেষ্টা করুন,মন আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

সুগন্ধি মোমবাতি বা ধূপ জ্বালিয়ে বেশ আয়োজন করেও মেডিটেশন করতে পারেন।

মেডিটেশন করলে শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, হতাশা, পিরিয়ডের আগের ব্যথা, অস্বস্তি, মাথাব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকর।

মেডিটেশন আমাদের চলার পথের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সাহায্য করে।

সিবি / এস এস