ন্যাভিগেশন মেনু

সমকামিতায় জড়িয়ে যুবক খুন


রাজধানী ভাষানটেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী শাহ আলম (৩৯) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রহমত উল্লাহ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ফুসলিয়ে সমকামিতায় জড়ানোর প্রতিক্রিয়াতেই শাহ আলমকে খুন করার কথা রহমত স্বীকার করেছে।নিহত শাহ আলম অবিবাহিত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে। 

ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তার রহমত উল্লাহ ভাষানটেকের মাটিকাটা এলাকায় দিনমজুরি করত। গত বুধবার রাতে তাকে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি বলেন, ‘এক থেকে দেড় বছর ধরে রহমত উল্লাহর সঙ্গে শাহ আলমের পরিচয়। অর্থের লোভ দেখিয়ে শাহ আলম তাকে সমকামিতায় জড়ায়। এ থেকে ক্ষিপ্ত হয়েই সে শাহ আলমকে খুন করে বলে জানিয়েছে। 

গত ১ জানুয়ারি মিরপুরের ভাষানটেক মাটিকাটা এলাকার একটি ভবনের পাঁচতলার চিলেকোঠার একটি কক্ষ থেকে শাহ আলমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে লাশ উদ্ধারের পর জানিয়েছিলেন ওসি দেলোয়ার। 

গ্রেপ্তার হওয়া রহমত উল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রহমত উল্লাহ গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে শাহ আলমের বাসায় যান এবং দুজনে একসঙ্গে টিভি দেখতে থাকেন। এক সময় শাহ আলম ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর ৪টার দিকে রহমত উল্লাহ রান্না ঘর থেবে চাকু নিয়ে ঘুমন্ত আলমের পিঠে আঘাত করে। 

তখন ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে শাহ আলম খাটের উপর পড়ে যান। এরপর শাহ আলমের গলায় চাপ দিয়ে এবং পেটে ছুরি মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার কথা জানায় রহমত উল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর ছুরিটি বিছানার নিচে লুকিয়ে রেখে বাথরুমে শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে কক্ষের বাইরে তালা মেরে রহমত পালিয়ে যান বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

এস এস