ন্যাভিগেশন মেনু

সমান দাপটে ডেঙ্গুতে ২৫, কোভিডে ২৪১৭৫ জনের মৃত্যু


দেশে কোভিড-১৯-এর সঙ্গে হাত ধরাধরি করে সমান দাপটে আঘাত হেনেছে ডেঙ্গুও। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কতোজন মারা গিয়েছেন তার কোন সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ২৫ জন মারা যাবার কথা জানা গিয়েছে। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাগুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে রবিবার অবধি ৬ হাজার ১০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছর যত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তার মধ্যে ৩ হাজার ৪৪২ জনই আগস্টের প্রথম ১৪ দিনের। এর আগে জুলাই মাসে ২ হাজার ২৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৮ জন। এদের মধ্যে ১৮৯ জনই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৪৯ জন। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৬০ এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৮৯ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছর এ পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এসব মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গু কি না তা নিশ্চিত করেনি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, আইইডিসিআর। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

ওই বছর প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু বিস্তৃত হয়েছে ৬৪ জেলায়। সে সময় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ায়, এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। যদিও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে আড়াইশ’র বেশি মানুষের এই রোগে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। সে বছর ১৪০৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ১২টি মৃত্যু ডেঙ্গু সন্দেহে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। ৭টি মৃত্যু ডেঙ্গুর কারণে হয়েছে বলে নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে রবিবার এক দিনে আরও ১৮৭ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের মোট সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।গত ১০ আগস্ট দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ২২ হাজারের দুঃখজনক মাইলফলক পেরিয়ে গিয়েছিল।

পাঁচ দিনে মৃতের তালিকায় যুক্ত হল আরও এক হাজার নাম। তাদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৪ হাজার ১৭৫ জনের প্রাণ গেছে করোনাভাইরাসে। দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ। এই হার আগের দিন ছিল ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে জুলাই মাসের বড় একটি সময় তা ৩০ শতাংশের উপরে বা আশপাশে ছিল।দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৩০ জন।

অর্থাৎ এই সংখ্যক মানুষ এখন নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন। জুলাইয়ে এই সংখ্যা দেড় লাখও ছাড়িয়েছিল। দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে সংক্রমণ আর মৃত্যুর সংখ্যা গত মাসের চেয়ে অনেকটা কমে এসেছে। তবে মধ্য আর পূর্ব অংশে এখনও চলছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপট।

এস এস