মহাকাশের অসীম শূন্যতায় যে রহস্য লুকিয়ে আছে, তার থেকে কিছু কম বিস্ময়কর নয় সমুদ্রের তলদেশের আশ্চর্য জগৎ। কত যে বিচিত্র প্রাণী ও উদ্ভিদ লুকিয়ে রয়েছে এখানে তার ইয়ত্তা নেই।
মাঝে মাঝে তেমনই দুর্লভ সব জীবের দেখা পেয়ে যান তাঁরা, যাঁরা নিয়মিত সমুদ্রের নিচে যান। তেমনই একজন, বছর আটচল্লিশের জোসি জোন্স।
এই মহিলা ডাইভার অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের রাই ফ্রন্ট সৈকত সংলগ্ন সমুদ্রের তলদেশে দেখা পেয়েছে এক রীতিমতো অদ্ভুতদর্শন প্রাণীর। চলতি ভাষায় তার নাম ‘পেনিস ফিশ’। নামকরণ থেকেই পরিষ্কার, একে দেখতে মানুষের পুরুষাঙ্গের মতো।
জোসি নিয়মিত খেয়াল রাখেন সমুদ্র সৈকতের। পাশাপাশি সমুদ্রের নিচে গিয়েও তা পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করেন তিনি। আর তা করতেই এবার এই বিদঘুটে জীবটিকে দেখতে পেয়ে যান তিনি।
তাঁর কথায়, ”আমি গত ১০ বছর ধরে সৈকত সাফ করে আসছি। আর দেখেছি এর ফলে জলও কত পরিষ্কার হয়ে যায়। এতে জলের তলার এই বাসিন্দারা আরও বেশি পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বাঁচতে পারে।
আমি জলের তলায় গিয়ে ছবি তুলে সেখানকার পরিবেশের একটা হিসেব রাখি। এবার তা করতে গিয়েই দেখা পেলাম এই পেনিস ফিশের।”
সমুদ্রগর্ভের এই বাসিন্দাকে বিজ্ঞানীরা প্রায়াপুলিডা বলে ডাকেন। সমুদ্রের একেবারে গভীরে এদের বাস। মাটির তলায় গর্ত খুঁড়ে গভীরে চলে যায় এরা।
মনে করা হচ্ছে, সম্প্রতি হওয়া ঝড়ের ধাক্কাতেই বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছে এই পেনিস ফিশ। তাই তার দেখা মিলল। জোসির তোলা ছবিগুলি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর ক্যালিফোর্নিয়ার এক সৈকতেও দেখা মিলেছিল এদের।
এস এস