ন্যাভিগেশন মেনু

সমুদ্র সৈকত ও কোহেলিয়া নদী রক্ষায় মাঠে পরিবেশবাদী সংগঠন


নানাভাবে দখল আর দূষণের কবলে পড়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আর কোহেলিয়া নদী শ্রী হারাচ্ছে। সে সাথে ধংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে পরিবেশ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এবং মহেশখালীর কোহেলিয়া নদীকে দখল আর দূষণ থেকে রক্ষার দাবিতে মাঠে নেমেছে কক্সবাজারের ১৫টি পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার পৌরসভা চত্বরে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজনে এক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাবিশ্বের কাছে যে সমুদ্র সৈকত সমাদৃত সেটিই এখন দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। এখন আর অহংকার করে অবিচ্ছেদ্য সমুদ্র সৈকত বলার সুযোগ নেই। এভাবে চলতে থাকলে সমুদ্র সৈকত খণ্ড খণ্ড হতে বেশিদিন সময় লাগবে না।

অন্যদিকে মহেশখালীর কোহেলিয়া নদীকে মেরে ফেলে করা হচ্ছে সড়ক। অথচ যে নদীর উপর নির্ভর ছিলো ৩ থেকে ৪ হাজার জেলের জীবিকা। এইভাবে একের পর এক সমীক্ষা ছাড়া উন্নয়ন পরিবেশের ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহনের পূর্বে সমীক্ষা করার দাবি জানান এসব পরিবেশবাদীরা। এসব দাবিতে তারা গণসমাবেশ সহ নানা কর্মসুচি পালন অব্যাহত রেখেছে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, নানাভাবে দখল আর দূষণের কবলে পড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আর কোহেলীয়া নদী। সৈকতের ইনানী এলাকায় বাধঁ নির্মাণ, চিংড়ি হ্যাচারির বর্জ্য, হোটেলের বর্জ্য যাচ্ছে সাগরে। সৈকতে আর্বজনা, ঝুপড়ি ঘর করে দখল, রোহিঙ্গাদের ঘর বানিয়ে দখলসহ নানাভাবে দখল আর দূষনের কবলে পড়েছে সৈকত। একই সাথে দখলবাজদের কারনে ভরাট হয়ে যাচ্ছে কোহেলিয়া নদী। এর ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র পড়েছে হুমকির মুখে।

বাপার সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম নজরুল ইসলাম বলেন, উন্নয়ন হতে হবে মানুষ এবং পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য। কোন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে স্থানীয় মানুষের গণশুনানি করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহনের পূর্বে সমীক্ষা করার দাবি জানাচ্ছি।

বাপার সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই, যারা নিজেদের পরিবেশ ও অস্থিত্ব ধ্বংস করে অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে। তাই অতিথি আপ্যায়নের নামে সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করার প্রচেষ্টা বন্ধ করার বিরুদ্ধে এবং কোহেলিয়া নদী রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। এলাকার পরিবেশ জীববৈচিত্র রক্ষায় আমাদের এ প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।

এ সময় সমাবেশের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন পরিবেশ ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এস এ এম/ এস এ /এডিবি