ন্যাভিগেশন মেনু

সম্ভ্রম বাঁচাতে ইমামকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


এক যুবতী গৃহবধূ তার সম্ভ্রম বাঁচাতে মসজিদের এক ইমামকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিলেন। কিন্তু আইনের চোখে তিনি হত্যাকারী। তাই তাকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ কাণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলায়। 

ধর্ষণচেষ্টা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমানকে হত্যা করেন ময়না আক্তার। একই মামলায় ময়নার ভাই মনির হোসেনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ময়নাকে ২ লাখ ও মনিরকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেছেন আদালত।কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম রবিবার সকালে এ রায় দেন।

এ সময় দুই আসামি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পূর্ব বরাটি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।

২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট রাত ৩টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় বাজরা-চৌমুড়ি পাকা রাস্তার পাশ থেকে হাফেজ মিজানুর রহমান মিজান নামে ওই ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই মো. নূরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ কোনাপাড়া গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার ও তার ভাই মনির হোসেনকে আটক করে।

২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল এ দুজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কোহিনূর মিয়া। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ময়নাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইমাম মিজানুর রহমান মিজান।

এ সময় ময়না তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় ইমামের লাশ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যান।

এস এস