ন্যাভিগেশন মেনু

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা আজ নিয়ন্ত্রণে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা আজ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌনে ৫টায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো, সিএমএসডি) অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা বলতে পারি করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও কমবেশি নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনা। বর্তমানে দেশে সংক্রমণের হার সাড়ে ৭ শতাংশ, যা ৩৩ শতাংশ হয়েছিল। আজকে মৃত্যু দেখলাম ৪১, যা ২৭০ এ উঠেছিল। করোনায় আমরা অনেককে হারিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘করোনা এমনিতেই নিয়ন্ত্রণ হয় না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়। করোনাকালে আমাদের অনেক কাজ করতে হয়েছে। একটি ল্যাব থেকে বর্তমানে ৮০০ ল্যাব হয়েছে। প্রতিদিন ১০০টির মতো করোনা টেস্ট হতো। সেখানে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৩০ হাজার টেস্ট করা হচ্ছে। করোনা রোগীর জন্য ১৭ হাজার আলাদা বেড রাখতে হয়েছে।‘

জাহিদ মালেক বলেন, ‘২০০ টি আইসিইউ থেকে ১৩০০ আইসিইউ তে উন্নিত করা হয়েছে। আরও হাজারখানেক কোভিড আইসিও তৈরি করা হয়েছে। আমাদের ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করতে হয়েছে। এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করায় সারাদেশ থেকে আসা রোগীর চাপ সামলানো সম্ভব হয়েছে। নতুবা এখানে একটি কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটা বড় হাসপাতালে বর্তমানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা রোগীর পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের সেবা আমাদের দিতে হয়েছে।’

ডেঙ্গুর বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এর জন্য আলাদা হাসপাতাল ছেড়ে দিতে হয়েছে। স্বাস্থ্যের বিভিন্ন নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। মানুষের কল্যাণে অনেক ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। সবার সহযোগিতায় করোনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম বাংলাদেশ।‘

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভারতের সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স দেয়ায় সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন-ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান।

এমআইআর/ওআ